পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ করিয়াছিলেন। ঠিক কথা বলিতে গেলে বলিতে হয়। গীতা ও ভাগবতের গ্ৰন্থকর্তাদের মধ্যে কেহ কেহ জ্ঞান ও ভক্তিকে একত্র মিলাইবার আবশ্যকতা অনুভব করিয়াছিলেন। গীতায় এক স্থলে আছে ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্ৰমিহ বিদ্যতে । আর-এক স্থলে আছে যো মে ভক্ত: স মে প্ৰিয়: । জ্ঞান ও ভক্তির সম্মিলনের চেষ্টা যে এ দেশে কিছু কিছু হইয়াছিল, তাহা এই দুইটি শ্লোকে বিশেষ ভাবে পরিস্ফুট হইয়াছে। এখানে বলা যাইতেছে যে, উচ্চ অঙ্গের জ্ঞান যাহা, ভক্তি তাহাই। শ্ৰীমদভগবদগীত জ্ঞানানুগত ভক্তির উপদেশ দিয়াছেন । যদিও এই উভয় গ্ৰন্থ পাঠ করিলে দেখিতে পাই, এমন সকল সাধক এ দেশে অভু্যাদিত হইয়াছিলেন, র্যাহারা জ্ঞান এবং ভক্তি এই উভয়কে মিলিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, তথাপি এ কথা সত্য যে, জ্ঞানমাৰ্গ ও ভক্তিমাৰ্গ এতদুভয় দুইটি স্বতন্ত্র ধারা রূপে চিরদিন এ দেশে প্ৰবাহিত হইয়া আসিতেছিল । মহাত্মা শঙ্কর, তিনি ছিলেন জ্ঞানপথের সাধক ; তার যে দশন তাহ ব্ৰহ্মজ্ঞানের উপরে স্থাপিত । সুতরাং সেই ভাবের সাধনই তিনি প্রবতিত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। বৈষ্ণব সম্প্রদায় -ভুক্ত রামানুজ প্ৰভৃতি সাকারবাদ বা অবতারবাদের প্রবর্তন করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। ভক্তিকে তাহারা সাকারবাদের আশ্রয়ে আনিয়াছিলেন । মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়, আমাদের দেশের শাস্ত্ৰসকল পাঠ করিবার পর তার মনে এই ভাব উদয় হইল যে, এই যে দ্বিভাব, এই যে দুই সাধন-পস্থা আমাদের দেশে প্রাচীন কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে, এতদুভয়কে মিলাইয়া বর্তমান সময়ের উপযোগী করিয়া এক নূতন » SR