পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ যে, এই যে নবালোক, এই যে মহা ভাব, যাহা রামমোহন রায় দেখাইয়া গিয়াছেন, ইহাকে ব্ৰাহ্মধর্ম নাম দিয়া জনসমাজে প্রচার করিতে হইবে, এবং তদদ্বারা মানবের আধ্যাত্মিক প্রয়োজনসকল সাধন করিতে হইবে। উপনিষদের যে বিশুদ্ধ ব্ৰহ্মজ্ঞান, যাহা কতিপয় দার্শনিকের মধ্যে আবদ্ধ ছিল, যাহা কেবলমাত্র জ্ঞানীদের মধ্যে আবদ্ধ ছিল, তাহাকে সেখান হইতে তুলিয়া মানবের সর্ববিধ আধ্যাত্মিক অভাব মোচন করিতে কৃতসংকল্প হইলেন। গৃহে, পরিবারে, জনসমাজে সর্বত্র তিনি এই ব্ৰহ্মজ্ঞানকে স্থাপন করিবার বাসনা করিলেন। এইটুকু তঁর মৌলিকত্ব। তৎপরে আসিলেন স্বৰ্গীয় ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ সেন । তিনি অসাধারণ প্ৰতিভা -বলে ইহাতে আরও কিছু যোগ করিয়া দিলেন। যে ব্ৰহ্মজ্ঞান আমাদের প্রাচীন আৰ্য ঋষিগণের মধ্যে ফুটিয়াছিল, যাহা গভীরতাতে ও উচ্চতাতে পৃথিবীর আদর্শ রূপে রহিয়াছে— এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ বিষয়ে আমাদের কাছে পৃথিবীর সকল জাতি হীন- ভবিষ্যতে পৃথিবীর সমুদয় জাতিকে ভারতীয় ঋষিদের চরণে বসিয়া এ জ্ঞান লাভ করিতে হইবে। আমাদের সৌভাগ্যক্রমে ভারতবর্ষে এই জ্ঞান ফুটিয়াছিল। রামমোহন রায় অলৌকিক প্ৰতিভা -বলে ইহাকে সাকারবাদ, অবতারবাদ প্ৰভৃতি গণ্ডী হইতে উদ্ধার করিয়া, উদার বিশ্বজনীন সার্বভৌমিক ভিত্তির উপরে স্থাপন কুরিবার বাসনা করিয়াছিলেন। ভক্তিভাজন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের চরণে বসিয়া আমরা ইহাকে श्न्लूि उाcव °ाशेश्वछि । কিন্তু স্বৰ্গীয় ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ সেন ইহাতে পাশ্চাত্য জগতের ভক্তির ভাব অনুপ্ৰবিষ্ট করিয়া দিলেন। তিনি সাধারণের উপযোগী কতকগুলি ভাব ইহাতে অনুপ্ৰবিষ্ট করিয়া দিলেন, যেমন, অনুতাপ, প্রার্থনা, পারসেবা ইত্যাদি। এইগুলি খ্ৰীষ্টীয় সম্প্রদায়ের প্রধান ভাব। ব্ৰাহ্মধর্মেরও এইগুলি প্ৰধান ভাব। কেশবচন্দ্ৰ বলিলেন, “বিবেকে ঈশ্বরের বাণী 28\ ܠ