পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্মের সম্ভাবনীয়তা শ্ৰবণ করা এবং সেই বাণীর অধীন হইয়া কাজ কর।” পাশ্চাত্য ধর্মের এই প্ৰধান ভাব আমরা ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্রের ভিতর দিয়া পাইয়াছি। এ ভাব আমাদের এই ভারতবর্ষে ফুটে নাই, আমাদের এই আর্যজাতির মধ্যে এ ভাব প্ৰস্ফুটিত হয় নাই। ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মধর্মকে হিন্দুধর্মের সংকীর্ণ অনুদার সীমা হইতে উদ্ধার করিয়া উদার, সার্বভৌমিক, বিশ্বজনীন, সমগ্র জগতের উপযোগী এক সুবিস্তৃত ভিত্তির উপরে স্থাপন করিলেন। সেজন্য অন্তরের সমূহ কৃতজ্ঞতা আজ তঁহাকে জানাইতেছি। তিনি পর্যুকালে কোথায় আছেন জানি না । কিন্তু তিনি যেখানেই থাকুন, আজ র্তাহাকে কৃতজ্ঞতার উপহার অর্পণ করিতেছি, তিনি তাহা গ্ৰহণ করুন। তঁার প্রধান আকাজক্ষা ছিল এই ধর্মকে সমগ্ৰ জগতের উপযোগী করিয়া গঠন করা । তার অর্থ ইহা নয় যে, আমরা ভারতীয়, অভারতীয় হইয়া যাইব । এ কথার অভিপ্ৰায় এ নয় যে, ব্ৰাহ্ম হইতে গেলে যিনি ইংরাজ তিনি অ-ইংরাজ হইয়া যাইবেন । ইংরাজের ইংরাজত্ব ঘোচা চাই, ভারতীয়ের ভারতীয়ত্ব ঘোচা চাই, তবে এই সার্বভৌমিক ধর্মভাব গঠিত হইবে। না, না, কখনই নয়। বরং এই কথাই সত্য যে, এই সার্বভৌমিক ধর্মের আশ্রয়ে ভারতীয়ের ভারতীয়ত্ব আরও ফুটিবে, ইংরাজের ইংরাজত্ব আরও ফুটিবে। জাতীয়তাও রক্ষা পাইবে, অথচ এই সার্বভৌমিক ধর্মভাব গঠিত হইবে। মহাত্মা কেশবচন্দ্রের পরে আমরা আসিয়াছি। আমরা ইহাকে আরও উন্নত করিয়া তুলিব। আমার মনে হয়, এই ব্ৰাহ্মধর্ম যেন runner-এর ডাক। যেমন পল্লীগ্রামে অনেক স্থলে রানারে ডাক লইয়া যায়। একজন লোক কঁধে করিয়া খানিক দূর লইয়া গেল, সেখান হইতে আর-একজন লোক কঁধে করিয়া আর খানিক দূর লইয়া গেল, সেখান হইতে আর-একজন লইয়া গেল। তেমনই ঐ দেখ, কত কঁাধ দিয়া SV)