মাঘোৎসবের উপদেশ চারিটি কথা, যাহা রামমোহন রায় বলিয়াছেন, কেশবচন্দ্ৰ সেন বলিয়াছেন, মহাষি দেবেন্দ্ৰনাথ বলিয়াছেন, উহাই সব । উহাই ব্ৰাহ্মধর্মের প্ৰাণ। এই দুই-চারিটি কথা জগৎকে আশার বাণী শুনাইয়াছে, পৃথিবীতে নবজীবনের বার্তা প্রচার করিয়াছে। অনেকে হয়ত আমাকে ধৃষ্ট মনে করিবেন। তঁরা হয়ত বলিবেন, “দেখেছি কি দেমাক! দেখেছি কি অহংকার! দেখেছি কি-রকম আত্মশ্লাঘা ! কর্নওআলিস স্ট্রীটের একটা বাডিতে মস্ত একজন ব’সে বলছেন, র্তারা যে দুটো-চারটে কথা বলেছেন, সেই কয়টি কথা নাকি জগতের আশা । পৃথিবীর লোককে নাকি তাই গ্ৰহণ করতে হবে।” কিন্তু যিনি যাহাই বলুন, আমি বলিতেছি, আমাদের এই কয়টি কথার মধ্যে এমন এক মহা সম্ভাবনীয়তা রহিয়াছে, যাহা ভবিষ্যতে প্ৰকাণ্ড আকার ধারণ করিয়া জগতে নবশক্তি আনয়ন করিবে। ইহা জগতের ভাবী। ধর্মভাবের উৎস। বেহালার সুরের ন্যায়। ভবিষ্যতে ইহা হইতে কত নূতন নূতন আধ্যাত্মিকতার সুর বাহির হইবে তাহা কেউ জানে না, কেউ বলিয়া দিতে পারে না । আমি ইহাকে নদীর সঙ্গে তুলনা করিয়াছি। ঐ যে গঙ্গা নদী, যেখানে উহার উৎপত্তি, তাহাকে গঙ্গোত্রী বল বা গোমুখী বল, সেখানে গিয়ে দেখ, গিরিপৃষ্ঠ হইতে এক সূক্ষ্ম জলধারা ঝিাবুঝির করিয়া নামিতেছে, সেখানে डेशीर्द গভীরতা এতই অল্প যে, একটি ক্ষুদ্ৰ প্ৰাণীও অনায়াসে তাহ পার হইয়া যাইতে পারে। যুগের পর যুগ কাটিয়া গিয়াছে, কালে সরস্বতী, গণ্ডকী, চর্মোন্নতি প্ৰভৃতি নদী-সকল উহার সহিত মিশিয়া ঐ জলধারাকে পরিপুষ্ট ও বর্ধিত করিয়াছে, উহার প্রসার ও গভীরতা বাড়াইয়া উহাকে শক্তিশালী করিয়া তুলিয়াছে। পুরাণে কথিত আছে, বিষ্ণুপদ হইতে গঙ্গা নদী পৃথিবীতে অবতীর্ণ NA NObr