পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্মের সম্ভাবনীয়তা অনেকে ব্ৰাহ্মধর্মকে কেবল মতের দিক দিয়া দেখেন। অনেকে ব্ৰাহ্মধর্মকে এইজন্য ভালবাসেন যে, ইহার মতগুলি বিচারসম্মত, ইহা জ্ঞানকে বধিত করে ও তাহাকে চরিতার্থ করে। জ্ঞানের চরিতার্থDB SBLDDD DBBS S DBBBBS BBD DDDS S DDDD BBB BDD এ ভাবে দেখিতে নাই। ধর্ম যে জ্ঞানকে চরিতার্থ করিবে না, তাহা আমি বলিতেছি না। ধর্ম যদি জ্ঞানকে চরিতার্থ করিতে না পারিল, তবে ধর্মের একটা মস্ত কাজ করা হইল না। প্ৰাচীন কালের ধর্ম-সকল বিজ্ঞান-বিরোধী ছিল বলিয়া বর্তমান জগতে আর সে-সকলের স্থান হইতেছে না। বর্তমানের উন্নত বিজ্ঞান ও উন্নত বিচারের সঙ্গে যে ধর্মের যোগ নাই, সে ধর্ম পৃথিবীতে দাড়াইতে পারিতেছে না। মানবের কল্পনাপ্ৰসূত মত ও বিশ্বাস এক্ষণে চলিয়া যাইতেছে । বিজ্ঞান-বিরোধী ধর্মমত আর টেকিতেছে না । পুরাকালে বলা হইয়াছে, হনুমান সূৰ্যকে বগলে পূরিয়াছিল। কিন্তু বর্তমান বিজ্ঞান বলিয়া দিতেছে, এই পৃথিবী সূর্য অপেক্ষা কত ক্ষুদ্র, পৃথিবীবাসীর পক্ষে সূর্যকে ধারণ করা অসম্ভব ও হাস্যজনক কথা, এবং পৃথিবী লাখ লাখ বৎসর ধরিয়া সৃষ্ট হইয়াছে । সুতরাং জ্ঞানকে চরিতার্থ করা ও বিশুদ্ধ ধর্মমত-সকল গঠন করা ধর্মের এক প্ৰধান কাজ। কিন্তু যাহারা ধর্মকে কেবলমাত্র জ্ঞানের পরিপোষক বলিয়া জানেন, তাহারা ধর্মের প্রধান কাজ কি তাহ এখনও অনুভব করতে পারেন নাই। জ্ঞানকে চরিতার্থ করা অপেক্ষা হৃদয় পরিবর্তন করা ধর্মের অধিক কাজ। মানবের সাধু আকাজক্ষাকে জাগ্রত করা, আত্মার মুখ ফেরান, ইহাই ধর্মের প্রধান কাজ। পাপীকে পরিত্রাণ দেওয়া, মানুষকে বঁাচান ধর্মের প্রধান কাজ । ধর্ম যদি এ কাজ করিতে না পারে, তবে ধর্ম তার প্রধান কাজ করিতে পারিল না । আমাদের কাছে বর্তমান সময়ে এই যে নবভাব আসিয়াছে, এই যে S)8 »