পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ তবে আর শিশুর শক্তিতে কতটুকু কুলায় ? তেমনি পাপী যখন ভাল হতে চাচ্ছে, সেই সময় ঈশ্বর যদি আপনার প্রভাব কিছু খর্ব ক’রে এসে তার হাতখানা না ধরেন, তবে আর পাপীর পরিত্রাণের উপায় কি আছে ? এই ভাবটা কেমন সুন্দর । এতে পাপীর প্রাণে কতটা আশার সঞ্চার করে !” আমি বললাম, “হা, ঠিক কথা, এ ভাবটা কেমন সুন্দর । ভারী সুন্দর । খুব সুন্দর । অতি সুন্দর । কিন্তু এই সঙ্গে আপনার আরএকটা কেন ভাবুন না। যেমন বৃক্ষের উৎপত্তিতে ও তাব বিকাশে দেখেন যে দুই শক্তি একত্র কাজ করে, এক শক্তি নীচ হতে আর এক শক্তি উপর হতে— নীচ হতে ওঠে। পৃথিবীর রস, উপর হতে আসে সূর্যের উত্তাপ, বায়ুর হিল্লোল ইত্যাদি- এই দুই শক্তি যদি একত্র কাজ না করে তবে বৃক্ষের প্রাণরক্ষা হয় না, তেমনি মানবের সর্ববিধ উন্নতিতে এইরূপ দুই শক্তি একত্র কাজ করে। মানবীয় এমন কোনও উন্নতি নাই যাতে নীচ হতে মানবের ব্যাকুল প্রার্থনা আর উপর হতে ব্ৰহ্মকৃপা এই দুই এক জায়গায় সম্মিলিত না হয়। ঈশ্বর স্বয়ং জুডিয়াতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন, তা শুনে আমার লাভ কি ? আমি যে পাপী, প্ৰতি মুহুর্তে আমার যে তার সাহায্যের প্রয়োজন, প্ৰতি মুহুর্তে আমার ব্যাকুল প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে তার সুাহায্য যে আমি চাই। আমি যে র্তার সাহায্য সর্বদা চাই। সকালে, বৈকালে, মধ্যাহ্নে সর্বদাই যে তিনি না হলে আমার চলে না, উঠতে, বসতে, আমার প্রত্যেক উৎখান এবং পতনের সঙ্গে তার শক্তির যে আমার একান্ত প্ৰয়োজন। প্ৰতি মুহুর্তে র্তার সান্নিধ্য না দেখলে কি আমাদের চলে ? তিনি কেন দূরে থাকবেন ? তিনি কেন একবার জগতে অবতীর্ণ হয়ে আপনার লীলা দেখিয়ে অন্তহিত হবেন ? এ যুগে কি আর পৃথিবীতে পাপী নাই ? እ) « b”