পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ ইহা অনুভব করতে পারাতেই জগতে ভক্তির জন্ম হয়েছে। সকল ভক্তগণই এটা অনুভব করতে পেরেছিলেন । কেহ বলতে পারেন, “এ কথা ব’লে পাপীর প্রাণে কত সাহস এনে দেওয়া হয়, তাকে আরও পাপের পথে যেতে বলা হয় । সে ভাবতে পারে, “ঈশ্বর যখন আমাকে ছাড়বেন না, তখন আর আমার ভয় কি ? আমি মিশ্চিন্ত মনে পাপ করতে পারি।” ” তা নয়। সে ভয় আমি পাই না। ঈশ্বর পাপী খুঁজে বেড়ান। সব দেশের সব সাধুৱাই ইহা অনুভব করেছেন । এই ভাব হতেই জগতে ভক্তির জন্ম হয়েছে। TLDB BB DBBD DBBDBDB DBB BBBD DuD DDB DDSSY DDS TLLY যে তার রাজভাব একেবারে বিলুপ্ত হয়, তার রাজবেশ সম্পূর্ণ রূপে উন্মোচন করতে হয়, তা নয়। কিন্তু তিনি খুজে বেড়ান। তিনি আমাদের উদ্ধারসাধনে ব্যস্ত। তার এই পরিত্ৰাতা-ভাব জগতে আসাতে সাধুদের জন্ম হয়েছে। যেমন ঘরে ঘরে দেখতে পাই, মায়ের কোলে শিশু থাকে, মা শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে ব’সে থাকেন, মায়ের প্ৰেম আমাদের কত অপরাধ মার্জন করে, মায়ের সহিষ্ণুভাব ও প্রেমের ভিতর দিয়ে যেমন ঈশ্বরের মাতৃভাব ফুটে বেরুচ্ছে, তেমনি জগতের সাধু মহাজনগণের ভিতর দিয়ে তার মঙ্গলস্বরূপ ফুটে উঠছে। সাধুরা আমাদের মা। পৃথিবীতে সাধুজীবনের দ্বারা জগতের কত কল্যাণ হয়েছে, জগদবাসীর কত উপকার হয়েছে। আমাদের পাপ হতে রক্ষা করবার জন্য র্তাদের কি চেষ্টা ! কি সংগ্ৰাম । ভাবলে অবাক হতে হয় । পাপীদের ভাল করবার জন্য পৃথিবীর সাধুরা যেমন ক’রে যত্ন করেছেন, তেমন আর কে করেছে ? সে-সমুদয়ের উল্লেখ এখন আর নিম্প্রয়োজন। আমাদের ক্ষুদ্রতার আবরণ কাটবার জন্যে, আমাদের অজ্ঞতার ও মোহের ঘোর কাটবার জন্যে তঁরা কতই না পরিশ্রম করেন। মহাত্মা বুদ্ধ পাপীদের SGS