পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বতমান যুগ ও পারমার্থিকতা ব্ৰাহ্মসমাজ কি কাজ করিতে জগতে আসিয়াছেন এবং সে কার্যের জন্য কিরূপ ভাবে আপনাকে প্ৰস্তুত করিতেছেন, আজ মাঘোৎসবের দিন BD BDDS DDDD DB EB BBBS YLBD DBBBBD DDD LLLDB BBB BBB DBDS BBDK DDDD DDD ভাবে তিন প্রকারে ধর্মকে দর্শন করিয়া থাকেন । প্ৰথম এক শ্রেণীর মানুষ আছেন, তঁহাদের মনের ভাব এই যে, বিষয় সম্মুখে আর পরমার্থ পশ্চাতে। এই শ্রেণীর অধিকাংশ লোক পরমার্থের প্রতি একরূপ উদাসীন। বিষয় তাহদের কাছে শ্রেষ্ঠ, বিষয় তাহদের সর্বোপরি, তাহাকেই তাহারা সর্বস্ব বলিয়া জানেন। র্তাহারা মনে করেন, পরমার্থ বিষয়ে চিন্তা করিয়া করিয়া মানুষ আজি পর্যন্ত কিছু একটা সন্তোষজনক মীমাংসায় যাইতে পারে নাই, পরিবেও না, উহা মানব-জ্ঞানের অতীত, উহা অজ্ঞেয়, সুতরাং জানিতে চেষ্টা করিয়া কাজ নাই। ঐহিক উন্নতিই সব, সেই বিষয়েই মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। তঁহাদের উপদেশ এই:- মানব-সমাজকে সুখী করিবার যে-সকল উপায় হাতের কাছে আছে তাহ অবলম্বন কর, পরমার্থ বিষয়ে চিন্তা করিয়া সময় নষ্ট করিও না । কিন্তু এই শ্রেণীর আরও অনেক লোক আছেন, তাহারাও এই ভাবাপন্ন, তাহারা পরমার্থচিন্তা বিষয়ে একেবারে উদাসীন। বর্তমান সময়ে পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রধান ভাব কি, এই প্রশ্ন যদি কেহ আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি এক কথায় তাহার এই উত্তর দেই যে, তাহ পরমার্থ-বিমুখত ; দৈহিক ও বৈষয়িক সুখে অতিমাত্রায় অভিনিবেশ বর্তমান সভ্যতার প্রধান লক্ষণ । রেলওয়ে এখন ঘণ্টায় চল্লিশ৷ মাইল যায়, যাহাতে তাহার অপেক্ষা বেশি যাইতে পারে অথচ তজনিত y\29