পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ জিজ্ঞাসা করেন, আমি সংক্ষেপে বলি, বর্তমান যুগে পরমেশ্বরকে মানবজীবনে প্ৰতিষ্ঠিত করা ইহার প্রধান কাজ । আমরা দেখিতেছি, বিজ্ঞান মানব-মনের চিরাগত সংস্কার-সকলকে পরিবতিত করিতেছে। প্ৰধানত ধর্মের ক্ষেত্রে মানবের ধর্মবিশ্বাসে যে-সকল প্ৰাচীন ধারণা ছিল, যেরূপ সংস্কার ছিল, যে-সকল ভিত্তির উপরে দণ্ডায়মান ছিল, বিজ্ঞানের প্রভাবে সে-সকল ভিত্তি স্থির থাকিতেছে না। ইহাতে দুই দিকে দুই প্ৰকার ফল ফলিতেছে। প্রথমত, প্ৰাচীন-ভাবাপন্ন ব্যক্তিগণ মনে করিতেছেন যে, পরমাৰ্থ বুঝি এ যুগে আর মানব-মনে স্থান পাইবে না, তাহা বুঝি মানব-মন হইতে বিলুপ্ত হইবে। যাহারা নিষ্ঠাবান হিন্দু তাহারা মনে করিতেছেন, বেদে যখন আর মানুষের নিষ্ঠ থাকিতেছে না, শাস্ত্রে ও গুরুতে যখন বিশ্বাস থাকিতেছে না, তখন পারমার্থিকতা আর কিরূপে থাকিবে ? প্ৰাচীন ভিত্তিগুলি চলিয়া গেলে যে মানব-মনে ধর্মভাব থাকা সম্ভব, তাহা তাহারা মনে করিতেই পারেন না । সুতরাং তাঙ্গার ‘ধর্ম গেল” ভাবিয়া নিরাশ হইয়া পড়িতেছেন । ধর্মই যদি মানব-সমাজ হইতে চলিয়া গেল, তবে আর কি দিয়া মানব-সমাজকে বাধিয়া রাখা যাইবে ? এই ভাবিয়া র্তাহারা গভীর দুঃখে নিমগ্ন হইতেছেন। আবার অপর দিকে র্যাহারা ধর্মের প্রাচীন ভিত্তিতে কুমাস্থাহীন হইতেছেন, তাহারাও ভাবিতেছেন ধর্মের ভিত্তি যখন গেল তখন ধর্ম আর কোথায় দাড়াইবে, সুতরাং পারমার্থিকতাকেও মন হইতে বিদায় করা আবশ্যক। ইহাতে র্তাহারা BDBDLD BBBDBC BBBDBDD DDD BDDBDDS জগতে এই যে পরিবর্তন যাইতেছে। ইহাতে এ দেশে আমাদের বিশেষ চিন্তিত হইবার কথা, কারণ আমরা পারমার্থিকতার জন্য চিরদিন প্ৰসিদ্ধ। আমাদের পূর্বপুরুষগণ স্বজাতীয়গণের মনে পারমার্থিকতাকে So R