পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ লাগে ; ওলাউঠা, প্লেগ যে কোনও রোগই হোক না কেন, সবেতেই সেই ঔষধটা লেগে যায়। এই রকম যদি হয়, তা হলে কি দেখা যায় ? দেখা যায়। এই যে, পরিবারের যত লোক সবাই মিলে সেইটাতে মন দিচ্ছে, সেটাকে তারা ভোলে না, সেইটে তাদের আগে, তার পর আত্মার সব। এই ত দেখা যায় মানুষ ক’রে থাকে। ওগো, জিজ্ঞাসা করি, তোমরা কি ধর্মকে তেমনি ক’রে ধরতে পেরেছ ? তা যদি না পেরে থাক, ধর্মটাকে যদি তেমনি মূল্যবান ভাবতে না পেরে থাক, তবে দরকার কি আছে তোমাদের মুখে ধর্মের বড় বড় কথা বলবার ? যদি না ভাবতে পার যে, ধর্ম তোমাদের অগ্রে আর বিষয় পশ্চাতে, তবে ব’লো না ধর্মের বড় বড় কথা লোকের কাছে। “আমরা বিষয়ও রাখব ধর্মকেও রাখব”- এমনতর লঘুভাবে যে ধর্মকে ধরে তার সে ধর্মের এক কড়ারও মূল্য হয় না। “ধর্ম আমার সর্বাগ্রে, তার পর আর সব”- এমন ক’রে শক্ত ক’রে যদি না ধরা যায়, এমন ক’রে কঠিন ক’রে যদি একে না ধরা যায়, তবে আর এ জিনিসের দাম কি ? লজ্জা দিন, লজ্জা দিন আজ মহৰ্ষি আমাদিগকে যে, আমরা ধর্মকে এমন লঘুভাবে, এমন হীনভাবে, এমন হালকা, পাতলা, ছোট ভাবে ধরেছি ; এবং আসুন সকলে, আজ ঈশ্বরচরণে প’ড়ে গিয়ে আমরা এই প্রার্থনা কৰ্বি, তিনি আমাদিগকে তুলুন। এই দুর্বলতা হতে, তুলুন আমাদিগকে এই লঘুতা হতে। উঠি আজ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথকে স্মরণ ক’রে । তার জীবনের যে কথা তিনি নিজ জীবনচরিতে লিখে গিয়েছেন, আজ তা স্মরণ করি । তঁর আত্মজীবনচরিতে যে আদশের ছবি অঙ্কিত ক’রে রেখে গিয়েছেন, আজ তা স্মরণ করি । “বিষয় পশ্চাতে ধর্ম অগ্রে, বিষয় দূরে ধর্ম নিকটে”- এই তার জীবনের মূল কথা। আজ স্মরণ করি সকলে তার জীবনের মূল কথা। আজ স্মরণ Sbor R