মাঘোৎসবের উপদেশ “তঁরা পড়িয়া রহিলেন । ধামিকেরা সব বনে গিয়া পাহাড়ের গুহায় বসিয়া ধর্মকে সাধন করিতে লাগিলেন, আর অন্য লোক এখানে পড়িয়া রহিল। যারা জনসমাজে থাকিলে কত কল্যাণ হইতে পারিত, মানবসমাজ কত উপকৃত হইতে পারিত, হায়, হায়, তঁদের ছাড়িয়া खञनश८ऊद्र दि' ङञक ऊन्निष्टेशे शशैश्च८छ् ! এই সমাজবিমুখতার ফলে আরও এই অনিষ্ট হইয়াছে যে, জনসমাজের উন্নতির জন্য কোনও চেষ্টা হয় নাই। আমাদের ধর্মসাধন জনসমাজের উন্নতি নয়, কিন্তু নির্জন সাধনায় ; মানব-সমাজের যাহাতে কল্যাণ হয় সেরূপ প্ৰয়াসে নয়, কিন্তু নির্জনে একাকী ধ্যান ও তপস্যাতে । এজন্য আমাদের পূর্বপুরুষেরা যে কিরূপ ক্লেশ স্বীকার করিয়াছিলেন, তাহা স্মরণ করিলে হৃদয় ভক্তিতে পূর্ণ হয়। একটা দৃষ্টান্ত হয়ত আমি অনেক বার দিয়া থাকিব। সে এই যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে একজন লোক হরিদ্বার হইতে সেতুবন্ধ রামেশ্বর পর্যন্ত শুইয়া শুইয়া গিয়াছিল। ইহা এক প্রকার সাধন। যেমন সকলে দেখিয়া থাকিবেন, অনেক লোক বড়বাজার হইতে কালীঘাট পর্যন্ত শুইয়া শুইয়া যায়, তেমনি সে ব্যক্তি নয়। বৎসরে এই কাজ করিয়াছিল। ভাবুন ত, কতটা স্বার্থজ্ঞাগ, প্ৰাণের কতটা আগ্রহ, ধর্মের জন্য কতটা দৃঢ়তা। কুম্ভের মেলায় যান, দেখিবেন সেখানে কত লোক উধ্ববাহু হইয়া রহিয়াছে, কেউ হয়ত চৌদ্দ বৎসর ধরিয়া হাতখানা উঁচু করিয়া রাখিয়াছে, এই এক প্রকার সাধন। আবার যান, ঐ গোদাবরী-তীরে যান, সেখানে হয়ত দেখিবেন কেউ গজালের শয্যা পাতিয়া দশ বৎসর ধরিয়া তাহাতে শুইয়া ধর্মসাধন করিতেছে। ধর্মের জন্য এদের যে এই স্বাৰ্থত্যাগ ও বৈরাগ্য, এ যদি মানবের সেবায় নিযুক্ত হইত, যদি পৃথিবীর উপকারে ইহা আসিত, তবে না জানি তদদ্বারা পৃথিবীর কত কল্যাণই হইত। è a R