পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ “আমাদের দেশে পাট হয়, তাই ব’লে পাট কি কেবল আমাদেরই ? ঈশ্বর বলেন, ধনধান্য যা কিছু আছে সকলে বণ্টন করিয়া খাও। বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত সত্য কি সকলের জন্য নয় ? বিজ্ঞানের সত্য গ্রহণে প্ৰাচ্য প্রতীচ্যের প্রভেদ নাই । ধর্মের তত্ত্ব সম্বন্ধেও সেইরূপ আপনার পর নাই । আমাদের ধর্ম প্রেমের ধর্ম । উহা কি কেবল ভারতেরই জন্য ? সে ক্ষুদ্রতার ও সে অনুদারতার দিন চ’লে গেছে । গ্রীক ও বার্বেরিয়ান, জিউ ও জেণ্টাইল, হিন্দু ও মেচ্ছ, এ-সকল বিভাগ এখন চলে যাচ্ছে। এখন মানবের কল্যাণকর যাহা কিছু তাহা সকলের জন্য। এখন উদার ধর্মভাবের দিন। মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় বুঝেছিলেন যে, ভারতে এমন এক দিন আসবে, যেদিন হিন্দু মুসলমান খ্ৰীষ্টান একত্র হয়ে এক ঈশ্বরের মহাপূজা করবে। এই মহৎ ভাবেই তিনি ব্ৰাহ্মধর্মের বীজ বপন করেছিলেন। সেই বীজ অঙ্কুর প্রসব করেছে, অন্ধুর বৃক্ষে পরিণত হচ্ছে। ইহা প্রেমের ধর্ম, সুতরাং গঠন ইহার স্বভাব। প্রেমের স্বভাব গঠন করা, দুইকে এক করা । এইরূপে প্ৰেম সাধকমণ্ডলী গঠন করে। জ্ঞানের DBD BDDDLDDS 00LEBB BDBBDOS DESLDDD SS SDBB YYBDS DDDDDS S DBDBBDB দেখে, কয়টা গ্যাস আছে। জ্ঞান ভাঙে, খণ্ড খণ্ড করে, বিশ্লেষণ করে। তাতেও কাজু হয়। প্ৰেম সংগঠন করে, বাধে, একত্র করে । প্রেমের १र्भ डांझे नाभांखिक १र्भ । অতএব পঞ্চম কথা এই যে, আমাদের ধর্মবিধান সামাজিক ধর্মবিধান । সমাজের উন্নতি করা, সমাজকে উচ্চ করা, সমাজের ভাল করা ইহার কাজ । আমাদের দেশের প্রাচীন কালেব ব্ৰহ্মজ্ঞান এবং এখনকার ব্ৰাহ্মধর্মে কিছু প্ৰভেদ আছে। ব্ৰহ্মজ্ঞানবাদীরা সংসারকে মায়া ও অবিদ্যা ব’লে মনে করেছেন, মানব-সমাজকে ভাঙবার চেষ্টা করেছেন, সন্ন্যাসের ধর্ম প্রচার করেছেন। কিন্তু আমাদের ধর্ম সমাজবিমুখ নয়, R R R