পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মার পাকস্থলী মনে কর, এক ব্যক্তি নানা শাস্ত্ৰ পাঠ করিয়াছেন, বেদে কি বলে, বেদান্তে কি বলে, বাইবেলে কি বলে, কোরানে কি বলে, তাহা তাহার তুণ্ডাগ্রে আছে, ধর্মতত্ত্বের প্রকার ও প্ৰণালী কি, সাধনের মাৰ্গ কয় প্ৰকার ও এ বিষয়ে কে কি করিয়াছেন এবং কে কি দেখিয়াছেন, তাহা র্তাহার কণ্ঠস্থ আছে। তিনি ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে সুপণ্ডিত, ইহাতেই কি তিনি ধাৰ্মিক হইয়াছেন ? পূর্বোক্ত ব্যক্তির ন্যায় তিনি কি আপনার আত্মাকে বলিতে পারেন, “হে আত্মন, তুমি ত ধর্মতত্ত্ব এত শুনিয়াছ, এত গ্ৰন্থ অনুশীলন করিয়াছ, আর কি, এখন পরিতৃপ্ত হও এবং এতদদ্বারা পরিপুষ্ট হও” ? তবে কি তাহার আত্মা তাহার দেহের ন্যায় বলিবে না, “শুনিলে কি হয়, ঐ সকল সত্য যদি আত্মার পাকস্থলীতে না গেল, যদি আত্মার চিন্তাতে, আকাজক্ষাতে, হৃদয়ের ভাবে ও হস্তের কাৰ্যে প্ৰতিষ্ঠিত না হইল, তবে শোনাই সার, এতদদ্বারা আত্মার কোনও উপকার দর্শে না” ? এই ভাব হৃদয়ে ধারণ করিয়া একজন সাধু বলিয়াছিলেন, “হায় ! হায়! অনুতাপ কাহাকে বলে, অনুতাপের প্রকৃতি কি, অনুতাপ হৃদয়ে কি পরিবর্তন আনে, অনুতাপে আত্মাকে কিরূপ বিনীত ও নির্ভরশীল করে, এ সকল অনেক শুনিয়াছি, এ শাস্ত্ৰে আমি সম্পূর্ণ অভিজ্ঞ । সে জন্য আমার দুঃখ নাই। আমার দুঃখ এই যে, পাপ করিয়া আমার সমুচিত অনুতাপ হয় না।” ঠিক ! ঠিক ! অনুতাপের শাস্ত্ৰ জানা এক কথা, আর পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া আর-এক কথা । তেমনি ধর্মতত্ত্ব শোনা এক কথা, আর সেই তত্ত্ব হৃদয়ে ধারণ করা এবং আত্মার পাকস্থলীতে পরিপাক করা আর-এক কথা । এইরূপ ধর্ম ও ধামিকজনকে দেখিলেও ধর্ম হয় না। হায়, সাধুসঙ্গে কত লোক বসিয়াছে, সাধুদের উপদেশ। কত লোক শুনিয়াছে, সাধুদের RV.