পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नवडोदन শাক্যসিংহের নাম অনেকেই শুনিয়াছেন, তাহার সম্বন্ধে কথিত আছে যে, তিনি যখন সন্ন্যাস-ব্রত গ্ৰহণ করিয়া স্বীয় পিতার রাজপুরী ত্যাগ করিয়া যান। তখন তিনি রাজভবনকে সম্বোধন করিয়া কহিয়াছিলেন, “ওরে রাজপুরী, যে ঘোরতর সমস্যার মীমাংসার জন্য প্ৰাণ আকুল, যদি তাহার সদুত্তর প্রাপ্ত হই, যদি মানবকে রোগ শোক জরা মৃত্যুর যাতনা হইতে মুক্ত করিবার কোনও পথ প্ৰাপ্ত হই, তাহা হইলে আবার আসিব, তোকে মুখ দেখাইব, তদভিন্ন এ মুখ আর দেখাইব না।” এই প্ৰতিজ্ঞ তাহার মনে ছিল । তিনি যখন দিব্যজ্ঞান প্ৰাপ্ত হইয়। বুদ্ধত্ব প্রাপ্ত হইলেন এবং যখন তাহার সমস্যার মীমাংসা হইল, যখন তিনি অবশেষে স্বীয় ধর্ম প্রচারার্থ বহির্গত হইলেন, তখন তিনি বহুকালের পর পুনরায় কপিলাবস্তু নগরের অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। তিনি সশিষ্যে নগরপ্রান্তে উপবনে আসিয়া বাস করিতে লাগিলেন । র্তাহাকে দেখিতে ও তাহার উপদেশ গ্ৰহণ করিতে প্ৰতিদিন বহুলোকের জনতা হইতে লাগিল । পরদিন প্ৰাতে বুদ্ধদেব ভিক্ষাপাত্র হস্তে নগরবাসীর দ্বারে দ্বারে মুষ্টিভিক্ষা করিতে আরম্ভ করিলেন । এ সংবাদ মহারাজ শুদ্ধোদনের নিকট নীত হইলে তিনি আপনাকে বিশেষ অপমানিত বোধ করিলেন । ত্বরায় পুত্রের নিকটস্থ হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “পুত্ৰ, তোমার এ কি ব্যবহার ? তুমি যে বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছ, সে বংশে কে কবে এরূপ ভিক্ষাবৃত্তির দ্বারা জীবনধারণ করিয়াছে ?” বুদ্ধ উত্তর করিলেন, “মহারাজ ! আমি যে বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছি তাহাতে আমার পূর্বপুরুষগণ সকলেই অপরের প্রদত্ত সামান্য দ্রব্যের দ্বারা উদর পূরণ করিতেন, তাহারা সকলেই ভিক্ষুক ছিলেন।” San