পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ জয় প্রতিষ্ঠিত হইতেছে। এইরূপে সকল প্ৰকার বিপ্লব তাহারই কাৰ্য সাধন করিতেছে । এই জাগ্ৰত ইচ্ছার সহিত মানব-ইচ্ছা যে পরিমাণে মিলিত হয় সেই পরিমাণে তাহ ধর্মপথে অগ্রসর হইতে সক্ষম হয় । এই জাগ্ৰত ইচ্ছাকে ডাকিয়া আনিতে হয় না, ইহা নিরস্তর প্ৰবাহিত রহিয়াছে । কিন্তু তিনি আমাদের মনে এমন এক ভাব দিয়াছেন, যাহাতে তিনি আমাদিগকে স্বাধীন রাখিয়াছেন। মানব বাধ্য হইয়া তাহার সেবা করিবে, মানব তাহার ক্রীতদাস হইয়া থাকিবে, তিনি তাহ চাহেন না । এইজন্যই তিনি আমাদের মনে দুই আশ্চর্য ভাব দিয়াছেন, স্বাধীনতা ও প্ৰেম । আপাতত বোধ হয়। দুইটি ভাব পরস্পরবিরোধী । কিন্তু ইতারা একই সূত্রে আমাদের মনে গ্রথিত রহিয়াছে। মানুষ স্বাভাবিক স্বাধীন, কিন্তু ঈশ্বর আমাদের মনে যেমন স্বাধীনতা প্ৰিয়তা দিয়াছেন, অপরদিকে তেমনি প্ৰেম দিয়াছেন । যেখানে প্ৰেম নাই বাধ্যতা আছে সেখানেই দাসত্ব, আর যেখানে প্ৰেম আছে আনুগত্য ও আছে সেইখানেই স্বাধীনতা । তিনি ক্রীতদাসের সেবা চাহেন না, কিন্তু প্রেমিকের উচ্ছসিত হৃদয়ের পূজা b८ ।। এই প্রেমের বশীভূত বলিয়াই আমরা একদিকে তাহার ইচ্ছার অনুগত, ঘোর পরাধীন। অপ্রেমিকের কাৰ্যে আত্মগরিমা উৎপন্ন হয়। “আমি এত কষ্ট সহ্য করিয়াছি, এত করিয়াছি।” প্ৰভৃতি কথা সর্বদাই তাহাদের মুখে শুনিতে পাওয়া যায়। প্রেমের ভাষা এরূপ নহে। প্ৰেম করে অনেক, দেয় অনেক, কিন্তু করিয়াছি বা দিয়াছি বলিয়া বুঝিতে পারে না । যেখানে প্ৰেমবিহীন কার্য হয়, সেইখানে আত্মার বড় দুৰ্গতি।। যতই পরিশ্রম করে ততই বিদ্বেষ বাড়িয়া যায়, মনে R 8

  1. FFF" ܠ ܐ