পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wțaqVD ve Cea যতটুকু সদভাব থাকে, তাহাও তিক্ত হইয়া যায়। অতএব মানুষ ঈশ্বরের প্ৰিয়কাৰ্য করিতে গিয়া। যদি প্ৰেমকে রক্ষা করিতে না পারে, তবেই আত্মগরিমা জন্মিবে । অপ্ৰেম লইয়া তাহার কার্য করিলে হৃদয় তিক্ত, বিরক্ত ও নীরস হইয়া যায়, মনের ভাব ও প্ৰবৃত্তি নীচ হইয়া যায়। কিন্তু যখন প্ৰেম গুরু হইয়া হাত ধরিয়া লইয়া কাৰ্যে প্ৰবৃত্ত করে, তখন যত পরিশ্রম করা যায় ততই মনে হয়, কিছুই করা হইল না, আরও হৃদয়মন তাহাকে সমৰ্পণ করিব, আরও তঁহার প্ৰেমে নিমগ্ন হইব । তখন যত দেওয়া যায়, ততই শ্রমের আকাজক্ষা বাড়িয়া যায় । প্রেমের ঋণ বড় ভয়ানক, পরিশোধ করিতে গেলে উত্তরোত্তর ঋণ বধিত হয়। সেই ঋণভারে প্রাণ অবনতি হইয়া পড়ে, সমুদয় মন-প্ৰাণ সেই প্ৰেমাগ্নিতে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে, চিন্তা কল্পনা রুচি সকলকেই তাহার ইচ্ছা অধিকার করে, সমুদয় মন সেই জাগ্ৰত ইচ্ছার অনুগত হইয়া পড়ে । ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য সাধনের ন্যায় আত্মশাসনেও এই প্রেমের প্ৰয়োজন । যদি কেহ মনে করেন যে, তিনি স্বীয় প্ৰতিজ্ঞার বলেই উচ্ছঙ্খল প্ৰবৃত্তিকুলকে বশীভূত রাখিবেন, তবে অচিরে তঁহাকে ভগ্ন-মনোরথ হইতে হইবে। জীবনের অভিজ্ঞতাতে জানি যে, এই গজকচ্ছপের যুদ্ধে মন ত্বরায় পরিশ্রান্ত হইয়া যায়। মন কখনও প্ৰবৃত্তিকুলের উপরে, প্ৰবৃত্তিকুল কখনও মনের উপরে, এইরূপ সংগ্রামে মন হতাশ ও ভগ্নোদ্যম হইয়া পড়ে ; কিন্তু যখন প্ৰেম আসিয়া হৃদয়কে অধিকার করে ও অগ্নির ন্যায় প্ৰাণে সংযুক্ত হয়, তখন প্ৰবৃত্তিকুল স্বতঃই বশীভূত হইয়া পড়ে । সেই প্ৰেম ভাল করিয়া হৃদয়কে অধিকার না করিলে ও তঁাহার ইচ্ছায় সর্বতোভাবে আপনাকে সমৰ্পণ না করিলে মানুষ নবজীবন R