পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসন দ্বারা ঈশ্বরের মহিমা খর্ব করা ইন্দ্ৰিয়পরতন্ত্র, পাপী, অবিশ্বাসী ও সংশয়ী ব্যক্তিই ঈশ্বরের মহিমা খর্ব করে, তাহা নহে। বিশ্বাসী বলিয়া যাহাকে জানি, রসনায় যিনি ঈশ্বরের নাম করেন, ঈশ্বরের সেবক ও উপাসক বলিয়া যিনি আপনায় পরিচয় দেন, তঁাহারও এমন অবস্থা হইতে পারে যে, তিনি রসনা দ্বারা ঈশ্বরের মহিমা খর্ব করিতে পারেন। সে অবস্থা কি ? মনোযোগ সহকারে চিন্তা করিয়া দেখি যে, অধিক কথা কি, প্রার্থনা দ্বারাও ঈশ্বরের মহিমা খর্ব করা যাইতে পারে । ঈশ্বরের স্বরূপ সম্বন্ধে কতকগুলি স্কুল সত্য আছে, তাহ ধর্মের ভিত্তিস্বরূপ । সে সকল সত্যের উপর যাহাতে সন্দেহ প্ৰকাশ পায় এমন ভাষা যদি উচ্চারণ করি, তাহা হইলে ঈশ্বরের মহিমা বিশেষরূপে খর্ব করা হয়। প্ৰথম সহজ কথা, ঈশ্বর সত্য । BBDg DBD DD BBBDB BBD BD KLLLBD DDBBSS S DDDD DBBD র্তাহার মহিমা পর্ব করা হয় । দয়াময় মহাসত্য, সত্যসত্যই কৃপা করেন, তিনি কৃপার আধার-ভাষায় যদি ইহা মান করিবার ও ইহার বিরুদ্ধ ভাব উৎপাদনা করিবার চেষ্টা করি, তাহা হইলে তাহার মহিমার হ্রাস করা হয়। অনেক সময়ে বিশ্বাসীও এইরূপে ঈশ্বরের মহিমা খর্ব করিয়া শাস্তিস্বরূপ আধ্যাত্মিক ধন লাভে ও করুণা সম্ভোগে বঞ্চিত থাকেন । তিনটি বিষয়ে আমরা ঈশ্বরের মহিমা খর্ব করিয়া অবিশ্বাস প্ৰকাশকরত শাস্তি পাই ও আধ্যাত্মিক জীবনের ক্ষতি করি। প্রথমত, যে নিরাশ হয় বা নিরাশার কথা উচ্চারণ করে, সে ঈশ্বরের মহিমা খর্ব করে । ‘পাব না’, ‘পারিলাম না।’ এমন কথা যে বলে, সে ঈশ্বরের মহিমা খর্ব করে। কেননা ঈশ্বর আছেন। ইহা যদি সত্য হয়, ঈশ্বরের কৃপা যদি সত্য হয়, তবে পাপীর উদ্ধার ও যে হইবেই হইবে, ইহাও সত্য কথা । ইহার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলিলেই দেবতার মহিমা খর্ব করা হয়। অনন্ত নরকের মতে আমাদের আস্থা নাই। পাপী অনন্তকাল \9S