পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ অনুগ্রহ নহে যে, দুইটি চক্ষু লইয়া আসিয়াছ, যাহার গুণে জগতের কত “শোভা দৰ্শন করিলে ? এই দুইটা চক্ষুর জন্য কতবার কৃতজ্ঞতা দিয়াছ ? চক্ষু দুইটি নিত্য আছে, সুতরাং সে কৃপাটা মনে থাকে না । অতএব আবিশ্বাসী হইয়া বলিও না যে, মানবকুল পাপেই ডুবিবে, তাহার। আশা-ভরসা নাই। মানব-হৃদয়ে ঈশ্বরের রাজ্য প্ৰতিষ্ঠিত করিবার জন্যই ব্ৰাহ্মসমাজের জন্ম। এই মহৎ লক্ষ্য সিদ্ধ হইবেই হইবে। ব্ৰাহ্মসমাজ যদি তাহার কৃপাকে ভরসা করিয়া তাহার অনুগত হইয়া পড়িয়া থাকেন, কাহার সাধ্য ইহার কার্যে বাধা দেয় । আজ এই মহোৎসবের দিনে সকলে একবার বিশ্বাস-চক্ষে দেখুন, ব্ৰাহ্মসমাজ পবিত্র বসন পরিধানপূর্বক ঈশ্বরের সিংহাসনের সম্মুখে দাডাইয়াছেন এবং ঈশ্বর তাহাকে বলিতেছেন, “নিশ্চয় জানিও, আমার ভক্ত কখনও বিনষ্ট “হয় না ; এবং আমার পুণ্য ভাবের দক্ষিণ হস্ত দ্বারা আমি তোমাকে তুলিয়া ধরিব।” কি আশার কথা ! ঈশ্বর যে এক সময়ে মানবের সহিত কথা কহিয়াছিলেন আর এখন পৃথিবীর পাপতাপ দেখিয়া মৌনী হইয়া যে মুখ ফিরাইয়াছেন, তাহা নহে । এই উৎসবক্ষেত্রে কি তিনি আমাদিগকে কিছু বলিতেছেন না ? বলিতেছেন। বই কি। প্ৰত্যেকে আপনি আপনি হৃদয়কে পরীক্ষা করিয়া দেখুন, ঈশ্বরের কোনও বাণী শুনিতেছেন কি না ? কেহ হয়ত বহুদিন -হইল দৈনিক উপাসনা পরিত্যাগ করিয়া বসিয়া আছেন । ঈশ্বর আজ তঁহাকে লজ্জা দিয়া বলিতেছেন, “তুমি করিয়াছ কি ? আমার সঙ্গে সম্বন্ধটা কি একেবারে ঘুচাইলে ?” তিনি অমনি লজ্জিত হইয়া মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা করিতেছেন, এবার ফিরিয়া গিয়া দৈনিক উপাসনার নিয়ম "দুঢ়রপে প্রতিষ্ঠিত করিব। কেহ হয়ত কোনও ব্রাহ্ম ভাই বা ভগিনীর

  • সাহিত অনেক দিন হইতে বিবাদ করিয়া রাখিয়াছেন । সে বিবাদটা

83