পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুমি আমার ঢাল শিখগুরু বাবা নানকের অনেক সংগীত অতি উচ্চভাবে পূর্ণ, তাহা শ্ৰবণ করিলে পাষাণও দ্রব হয়। অমৃতসরের গুরুন্দরবারে গম্ভীরাকৃতি প্রশস্তললাট বিশালবপু বৰ্ষীয়ান শিখগণ বীণার বাব-সহকারে বাবা নানকের এই সকল সংগীত যখন গান করেন, তাহা শ্রবণ করিলে অন্তরাত্মা আর্দ্র হয়। একটি সংগীতে নানক কহিতেছেন, “তু মেরে ওঠা বল, বুদ্ধি ধন তুমহি, তু মেরে পরিবার।” বাবা নানকের মুখ দিয়া যখন এই কথা উচ্চারিত হইয়াছিল, সেই দিনের কথা চিত্রিত করা शऐ । একজন সামান্য বণিক-সন্তান ধন উপার্জন করিতেছিল, সংসারের অপর লক্ষ লক্ষ লোকের ন্যায় দিন কাটাইতেছিল, কি শুভদিনে কেমন করিয়া পরমেশ্বর তাহার। প্ৰাণে উদিত হইলেন, আর তাহার পূর্বের জীবনে স্বাদ রহিল না। বিষয় ভাল লাগিল না, স্ত্রীপুত্র ও গৃহসুখের কোনও বন্ধন রহিল না, ঈশ্বর তাহাকে উন্মত্ত করিয়া তুলিলেন, নানক ফকির হইয়া গৃহের বাহির হইলেন। পথের লোক হয়ত তাহাকে প্রশ্ন করিত, “তুমি ত ধন উপার্জন করিয়া ধনী হইতে পারিতে, তাহা না হইয়া বীণারবাব লইয়া পথে পথে কেন বেড়াও ? পথে দাসু্যতস্কর আছে, তাহারা তোমাকে মারিয়া তোমার সর্বস্ব হরণ করিবে ।” এই সকল কথা শুনিয়া তিনি নিশ্চয়ই এই সংগীত রচনা করিয়াছিলেন। তিনি ঈশ্বরকে লক্ষ্য করিয়া তাই বলিলেন, “প্ৰভু, লোকে বলে আমি অসহায়, কিন্তু তুমি আমার বল। লোকে বলে আমি নির্বোধ, কিন্তু তুমি আমার বুদ্ধি। লোকে বলে আমার আত্মরক্ষার উপায়ু নাই, কিন্তু তুমিই আমার ঢাল।” কি গভীর প্রেমের অবস্থায় নানকের মুখ দিয়া এই কথা বাহির ( )