পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ প্ৰথম, জীবের প্রতি অপূর্ব প্রেম। বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা বলেন, শাক্যসিংহ মুক্তাত্মা, তথাপি তিনি যে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন সে কেবল জীবের প্রতি অনুরাগের জন্য। জরামরণের হাতে মানবের নিগ্ৰহ দেখিয়া তাহার হৃদয় এত ব্যথিত হইয়াছিল যে, তাহার জন্য এই ক্লেশ বহন করিয়াছিলেন । খ্ৰীষ্টিয়ানগণ বলেন, যীশু স্বয়ং পরমেশ্বর, তিনি যে এত যন্ত্রণা সহ্য করিয়া জীবন দিলেন সে কেবল জীবানুগ্রহের জন্য । এই জীবানুগ্রহ সকল মহাত্মার লক্ষণ। এই জীবানুগ্রহের গভীরতার বিষয় চিন্তা করিলে উহাদিগকে আর সাধারণ মনুষ্য বলা যায় না। আমাদের প্রেমের প্রকৃতি এই, যে ব্যক্তি প্ৰেমাস্পদ, সুন্দর, কোমল এবং অনুরাগশীল, তাহার উপরই প্ৰেম যায়। কিন্তু যেখানে কদৰ্যতা, দুৰ্গন্ধ, অসাধুতা, সেখানে আমাদের প্ৰেম গিয়া আলিঙ্গন করে না। বরং যে পাপী তাহাকেও প্ৰেম করা যায়, কিন্তু যে প্রেমের পরিবর্তে অপ্ৰেম দেয়, কৃতঘ্ন হইয়া অপকার করে, তাহাকে প্রীতি করা আমাদের সাধ্যায়ত্ত নয়। সাধুদের মহত্ত্ব দেখ, যে হস্ত আঘাত করিতেছে, তাহাকে প্ৰেম দিয়াছেন। ঈশা, বুদ্ধ প্ৰভৃতি বড় বড় নাম অন্বেষণ করিতেছি। কেন, মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় লিখিয়াছেন যে, পৌত্তলিকতা দেখিয়া তাহার প্রাণ এতই ব্যথিত হইয়াছিল যে, ইহার উচ্ছেদের জন্য অর্থ, সামৰ্থ্য, শরীর, ধন সমুদায় নিয়োগ করিয়াছিলেন। ষে জাতি র্তাহাকে উৎপীড়ন করিয়াছে, নগণ্য লোকের ন্যায় ব্যবহার করিয়াছে, পাষণ্ডের ন্যায় পরিত্যাগ করিয়াছে, অপমান করিয়াছে, তাহারই উদ্ধারের জন্য অর্থ, সামর্থ্য, শরীর, বল সমুদায় নিয়োগ করিলেন। ইংলণ্ডে ভজনালয়ে গেলে উপাসনাকালে রাজার চক্ষু দিয়া জলধারা পড়িত। সেখানকার উপাসকগণ কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বলিতেন, “উপাসনায় যোগ দিতে গেলে দেশের লোকের জন্য প্ৰাণ ব্যাকুল Vde)