পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমের সংস্পর্শ আজি প্রেমের মহিমা বিবৃত করিব। শরীরে শরীরে যেরূপ সংস্পর্শ হয়, আত্মাতে আত্মাতেও সেইরূপ হইয়া থাকে। শরীরের ংস্পর্শ কিরূপ তাহা আমরা সকলেই অনুভব করিয়াছি। পথে চলিতে চলিতে কত লোকের সঙ্গে সংস্পর্শ হয়। তাহার কিছুই শক্তি নাই। কিন্তু আমরা দেখিতে পাই, র্যাহাকে ভালবাসি, র্যাহার সহিত প্রীতির যোগ রহিয়াছে, তিনি যখন আমাদিগকে স্পর্শ করেন, স্কন্ধে হস্তাপণ কবেন, বাহু দ্বারা আবেষ্টন করেন, তখন তাহার যে আশ্চর্য শক্তি আমাদের উপর কার্য করে, তাহা আমরা বিলক্ষণ অনুভব করিয়া থাকি। যেখানে প্রীতির যোগ আছে, সেখানেই আত্মার সংস্পর্শ হইয়া থাকে। যখন শিশু শয্যায় শয়ন করিয়া খেলা করিতে থাকে, প্রস্ফুটিত নয়ন দ্বারা জননীর প্রতি দৃষ্টিপাত করে, জননী তাহাকে চুম্বন না করা পর্যন্ত তাহার প্রাণ যেন তৃপ্ত হয় না। জননী শিশুকে বুকে পরিয়া তাহার মুখ চুম্বন করিয়া কি স্বগীয় আনন্দ লাভ করিয়া থাকেন, তাহা অপরে কি বুঝিবে ? একমাত্র পিতামাতাই তাহা অনুভব করিয়া থাকেন। a গতকল্য যখন কীর্তন বাহির হইয়াছিলাম, কীর্তন করিতে করিতে প্ৰাণে অপূর্ব উৎসাহের সঞ্চার হইয়াছিল। কিন্তু গায়কগণ যতক্ষণ পর্যন্ত পরস্পরকে বাহু দ্বারা বদ্ধ না করিলেন ততক্ষণ পর্যন্ত যেন প্ৰাণ তৃপ্তিলাভ করিল না । শরীরে শরীরে এইরূপ সংস্পৰ্শ আমরা অনেক দেখিয়াছি। ইহার মধ্যে বাস্তবিকই মধুরতা আছে। এইরূপ আত্মাতে আত্মাতেও সংস্পর্শ হইয়া থাকে এবং তাহাতেও অপূর্ব আনন্দের সঞ্চার হয়। উৎসবের প্রারম্ভে চারিদিক হইতে ব্যাকুল অবসন্ন আত্মা সম্মিলিত হইয়াছেন, সকলে আনন্দ উপলব্ধি করিতেছেন কি ? কতজনে ዓ ¢