পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমের সংস্পৰ্শ সকলের সংমিশ্রণে কেমন সুন্দর শব্দ হইয়া থাকে ! যখন আমাদের ভাইয়ে ভাইয়ে ভালবাসা হইবে, পরস্পরের প্রতি প্ৰেম হইবে, তখন সকল সুর মিলিয়া এক তানে ঈশ্বরের নাম গান করিবে । রৌপ্য এবং স্বর্ণ মিশে না ; কিন্তু আগুন দাও, উভয়ে গালিয়া মিশিয়া যাইবে । এইরূপ প্ৰেমহীন দুইটি কঠিন হৃদয় গলিবে না, প্রেমের উত্তাপ দাও, তখনই গলিয়া যাইবে । “প্রেমের অপূর্ব রীতি বলা নাহি যায়”— ইহা অতি সত্য কথা । ব্ৰাহ্মসমাজে যদি এই প্ৰেম অবতীর্ণ না হয়, তাহা হইলে সকলই বিফল । এই পথে কিসে বাধা জন্মায় ? আমাদিগের মিলনের পথে কিসে। বিস্ত্র উৎপাদন করে ? আমরা কেবল প্রেমের এবং ঈশ্বরের শক্তির অধীন ত নই। যদি তাহাই হাইতাম, তবে অবশ্যই মিশিয়া যাইতাম । ইহা নিশ্চয় কথা যে, আমরা সম্পূর্ণ রূপে তাহার রূপার অধীন নাহি। আমাদের যে নিজ ইচ্ছা, প্ৰবৃত্তি এবং পাথিবি ভাব আছে তাহাই এই মিলনের পথে বিস্ত্ৰ উৎপাদন করে । অহংকার, অভিমান ও বিদ্বেষ ভােবই বাধা প্ৰদান করিতেছে । “কি ! আমার কথা। রাখিল না, এত বড় যোগ্যতা !” এই ভােব কি মনে উদয হয না ? এই সকল কারণেই প্ৰেম কাৰ্য করে না । আজি যিনি আত্মসমৰ্পণ করিতে আসিয়াছেন তিনিই ঈশ্বর-করুণা সম্ভোগ করিবেন। কোনও দেবালয়ে প্রবেশ করিতে হইলে পাদুকা। পবিত্যাগ করিয়া প্ৰবেশ করিতে হয় । আমাদের ঈশ্বর আজ বলিতেছেন, “আপনাকে ত্যাগ কর, তৎপর উৎসবের দ্বারে প্রবেশ করি।” আপনার ইচ্ছা ডুবিয়া যাউক, কেবল তাহারই ইচ্ছার জয় হউক, এই ভাব লইয়া যিনি আজ আসিয়াছেন, তিনিই প্রবেশের অধিকার পাইবেন । আজ এই উৎসবের দিন সকলে এক হইয়া প্ৰাৰ্থন しア>