পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষকের আশা জগতের ধর্মপ্রবর্তক মহাজনগণের জীবনের একটি গৃঢ় রহস্য এই, তাহারা মানব-সমাজের পাপতাপ যেরূপ হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন, Lu DBD DBDDBD DBBBBD BBKS DD DDSS LDBDBB DDBB মানবজাতির ভবিষ্যতের প্রতি যেরূপ। আশা স্তাপন করিয়াছিলেন, এরূপ সাধারণ মানুষ পারে না। বলিতে কি, এই আশাই তঁহাদের মহত্ত্বের বিশেষ লক্ষণ ও তঁহাদের শক্তির প্রধান উৎস স্বরূপ ছিল। তাহারা যে বলিতেন, মানব-সমাজ একদিন পূর্ণ পদবীতে প্ৰতিষ্ঠিত হইবে, তাহা মানবের দুর্বলতা জানিতেন না বলিয়া নহে, কিন্তু তাহা এইজন্য যে, র্তাহারা মানবের বিবিধ দুর্বলতার মধ্যে আরো কিছু দেখিতেন। বলিয়া । র্তাহারা দেখিতেন, মানব যে শাসনের অধীন তাহ ধর্মের শাসন, চরমে সে শাসন জয়যুক্ত হইবেই। হইবে। এইজন্য এই সকল সাধুজনের চরিত্রে দুইটি ভাব একসঙ্গে দেখিতে পাই, বর্তমান দেখিয়া শোক ও ভবিষ্যতের জন্য আশা । একদিকে ক্ৰন্দন অপর দিকে আনন্দ । আমাদেরও দশ আজি যেন কতকটা সেই প্ৰকার দেখিতেছি । আজ আমাদেরও হৃদয়ে বিষাদ ও হর্ষ একত্র মিলিত হইতেছে। ব্ৰাহ্মবন্ধু! তুমি যে রজনী প্ৰভাত হইতে না হইতে উৎসাহিপূর্ণ অন্তরে ও প্ৰফুল্ল বদনে এইস্থানে সমাগত হইলে, তুমি অদ্য কি করিতে আসিয়াছ ? তুমি কি কঁদিবে বলিয়া আসিয়াছ না হাসিবার ইচ্ছাতে আসিয়াছ ? দেশবিদেশ হইতে সমাগত প্ৰবীণগণ। আপনারা যে এত ব্যয় ও পথশ্ৰম করিয়া আসিলেন, আপনারা কি কঁাদিতে না হাসিতে আসিলেন ? ব্রাহ্মিক ভগিনীগণ! তোমরা যে প্ৰভাত না হইতেই গৃহকাৰ্য ফেলিয়া আসিলে, তোমরা আজ কঁদিবে না হাসিবে ? যদি