পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८ व्० তাহা বিবরণ করিব, এ অহংকার যেন না করি। এ বিনয়ের রাজ্য, এখানে অহংকার লইয়া প্ৰবেশ করিতে নাই। আমাদিগকে উচ্চ আকাজক্ষা, মহৎ অাশা ও স্বার্থনাশের শক্তি লাভ করিতে হইবে, লাভ করিবার জন্য সাধন করিতে হইবে । বিশ্বের প্রভু তাহার ধর্ম-বিধানে এ-সকল পরিবেশন করিতেছেন । তিনি সকলকে দিতে ব্যস্ত রহিয়াছেন। আমাদিগকে তাহার নিকট হইতে লইতে হইবে। উচ্চ আদর্শ হৃদয়ে ধারণা করিতে হইবে । কিরূপ আদশের দিকে যাইতে হইবে তাহ আজ তিনি ভাল করিয়া বুঝাইয়া দিন । কিসের পশ্চাতে যাইব ? ধনের পশ্চাতে, ক্ষুদ্র সুখের পশ্চাতে, না। ঈশ্বর যে আদর্শ দেখাইতেছেন তাহার পশ্চাতে যাইব ? সংবৎসর কাল কি সাধন করিয়াছি ? এই মহৎ উচ্চ আদর্শ হৃদয়ে ধরিয়া রাখিতে পারিয়াছি কি না, তাহা ঈশ্বর আজ প্ৰকাশ করিয়া দিন। আশাতে হৃদয় পূর্ণ রাখিয়াছি কি না, পর্মভাবে প্ৰাণ পূর্ণ রাখিয়াছি কি না ? যে আদর্শ দেখিয়াছি তাহাতে প্ৰতিষ্ঠিত রহিয়াছি কি না ? যদি আমরা স্বার্থ ভিন্ন আর কিছু না চিনিয়া থাকি, যদি জ্ঞানের প্রতি আমাদের অনুরাগ না থাকে, যদি মহৎ চিন্তায় আমরা উদ্দীপ্ত না হই, যদি স্বার্থনাশের শক্তি আমাদের মধ্যে না জন্মিয় থাকে, তবে আর কি হইল ? ধর্মের জন্য যদি উন্মত্ত হইতে না পারিলাম, তবে কি হইল ? প্ৰত্যেক ধর্মের ইতিহাসেই দেখিতে পাওয়া যায় যে, কতকগুলি লোক সেই সেই ধর্ম লইয়া উন্মত্ত হইয়া উঠিয়াছিল। খ্ৰীষ্টীয় ধর্মের ইতিহাসে জানা যায় যে, আদিম৷ খ্ৰীষ্টীয় মণ্ডলীতে প্ৰবেশ করিবার পক্ষে এই নিয়ম করা হইয়াছিল যে, যাহার যাহা বিষয়সম্পত্তি আছে সমুদয় বিক্রয় করিযী ধর্মমণ্ডলীর নিকট সমৰ্পণ করিতে হইবে। সকলে তাহাই করিয়াছিলেন, তাহাতেই শক্তি উৎপন্ন হইয়াছিল। আমরা যদি তাহাই হইতে পারি, তবে r