পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্মলাভের অধিকারী কে ? রহিয়াছে। মানব অনেক সময় এই সমুদায় সাধু-উক্তি পড়িয়া জীবন ফিরিল কি না, হৃদয়ে প্ৰেম জন্মিল কি না, তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করে না ; নিজ জীবনের প্রতি অন্ধ হইয়া এই সকল বচন সংগ্ৰহ করে, তাহা পাঠ করে, এবং তাহাতেই সন্তুষ্ট থাকে । এক প্ৰকার লোক আছে, কিসে ব্যবসায়-বাণিজ্যের সুবিধা হয়, কি করিলে উত্তম সাবান, উত্তম কালি প্ৰস্তুত করিতে পারা যায়, তাহা তাহারা বলিয়া দিবে, দশ-বিশ রকমের টাকা উপার্জনের পথ হয়ত বলিয়া দিবে, কিন্তু নিজে কিছুই করে না বা করিতে পারে না। উপার্জনের পথ শুধু বলিয়া দিলে কি হইবে ? নিজে কি করিয়া দশ টাকা উপার্জন করিতে পরিবে, তাহাই কর। সেইরূপ তুমি যে শুধু উত্তম গ্ৰন্থ-সকল পাঠ করিয়া বেড়াও, সাধু-উক্তি সংগ্ৰহ করিয়া বেড়াও, একবার নিজের জীবনের দিকে চাহিয়া দেখ দেখি, জীবন ফিরিল কি না ? হৃদয়ের ভগবদ ভক্তি জাগিল কি না, প্ৰেম জাগিল কি না ? কি চাও ? ভগবানকে চাও, না। শুধু লোকের প্রশংসা পাইয়াই সন্তুষ্ট ? এইরূপ বচন সংগ্ৰহ করিয়া করিয়া বেড়াইয়া এবং নিজ জীবনের প্রতি দৃষ্টি না রাখিয়া মানুষ নিজে প্ৰতারিত হয় এবং জগৎকেও ভুলাইয়া থাকে ! পৃথিবীর লোক নকল লইয়াই অনেক সময় সন্তুষ্ট থাকে। আসলের দিকে চাহিয়াও দেখে না । অসার বাহ চাকচিক্যের প্রতিই সর্বদা দৃষ্টি পড়ে। প্ৰকৃত সারিপদার্থের প্রতি তাহারা সর্বদাই অন্ধ। এই শ্রেণীর লোকেরাই পৃথিবীর লোককে ভুলাইয়া থাকে, ইহারা শুধু লোকের প্রশংসা পাইয়াই সন্তুষ্ট। নিজের জীবনের প্রতি দৃষ্টি কিংবা ঈশ্বর-চৰণে নির্ভর একেবারে নাই। প্ৰবচনের দ্বারা লোকে যেরূপ আত্মপ্ৰতারিত হইয়া থাকে, সেইরূপ b>。