পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রেবতী বড়ই মমতা বোধ করে। মোর জন্যে ভাবতে হবে না তোমাদের । তোমরাই মিছিমিছি ভয় পেয়ে মোকে ভাগিয়ে দিলে, কে কি করত শুনি ? গিরিও। সায় দিয়ে বলে, তখন গোলমাল করলেও করতে পারত হয়তো, এখন সাহস পাবে না। i যা নাম ছড়িয়েছে, মেয়ার ওর পিছনে লাগলে দশ গায়ের মানুষ হৈ-হৈ করে রুখে উঠবে। কুঞ্জ হাই তুলে বলে, ওটাই তো আসল বিপদ গো। গিরি বলে, না না, সে দিনকাল আর নাই। এখন আর ९3८ऊ ८८व्याश्हीन्द्रि श् न् । এবেলা থাকবে কুঞ্জ, দুপুরে খেয়ে দেয়ে রেবতীকে নিয়ে রওনা দেবে। তার জন্যে গিরি দু’একটা বিশেষ তারকারী রান্না করে, গোটা কয়েক ল্যাঠা মাছও যোগাড় করে। কিন্তু গিরির মুখে ঘনিয়েছে বিষাদ । থেকে থেকে বলে, তুই গেলে কাকে নিয়ে থাকব। লো ? রোবতীরও মন খারাপ হয়ে গেছে । কি ভাবেই প্ৰাণের টান গড়ে ওঠে এক একটা মানুষের সাথে-ছাড়াছাড়ির নামে কান্না পায় । মুখে সে বলে, আগে কাকে নিয়ে ছিলে ? গিরি বলে, আগের কথা বাদ দে, তখন তো ছিলি না। তুই । অ্যাদিন রাতে জড়িয়ে ধরে শুয়েছি, একলাটি ঘুম আসবে। আর ? এইজন্যে যার তার ওপর মায়া বাড়াতে নেই। তার কঁাদা-কঁাদা মুখ দেখে রেবতী এবারে কেঁদে ফেলে, মোর খুব ফার্তি লাগছে ভাবিছ বুঝি মামী ? SO)