পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বের করবার দিন থেকে জগতের রূপ পাল্টে গেছে তার 夺t夜1 শুধু অসংখ্য লোকের মুখ থেকে নিজের প্রশংসা কীর্তন শোনেনি। সে । রেবর্তী বুঝতে শিখেছে। গরীব চাষাভুষো ঘরের মেয়েদের কথা, চাষীদের দুরবস্থার কথা, চাষীর লড়ায়ে মেয়েদের অংশ নেবার কথা । এবার তাকে জানতে বুঝতে হবে কুলির ঘরের কথা, কুলির মেয়ে-বৌয়ের কথা, কলে খাটা মানুষের সুখ দুঃখের কথা । শ্বশুর-শাশুড়ীর কটু কথায় অতিষ্ঠ হয়ে শুধু নিজের সাধ-আহ্নলাদের হিসাব নিকাশ করে অভিভূত হয়ে থাকলে নীলকণ্ঠী কেন বলবে তাকে সারা গায়ের শত শত লোক । ঘরের কলহে দিশা হারিয়ে অথবা আপন জনকে নিয়ে বিভোর হয়ে মানুষকে ঠকাবে নাকি রেবতী ? সভা করে মানুষ মিছেই তার গুণ গেয়েছে । দিন দশ-বারে পর একদিন গোবিন্দ ফিরে আসে। তার মুখ দেখেই রেবতী টের পায় কলকাতায় কলে কাজ (a Vis কেমন করে টের পায় সে-ই জানে। গোবিন্দ হাসিমুখে বলে, বৌ, তৈরী হয়ে নাও। পরশু, Rf7f7 3GKVIS (CIVS CK বুকটা ধক করে ওঠে। রেবতীর, কাল বাদ পরশু যেতে হবে নাকি মোদের ? Nà Red