পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপর গোবিন্দ সার্টের পকেট থেকে ছুরি বার করে দংশনের যায়গাটা গভীর করে চিরে দেয়। Y একজন প্রশ্ন করে, কি করে কামড়াল ? অঘোর বলে, এ সাপ তো যেচে কামড়ায় না। গোবিন্দ জবাব দেয়, লেজে পা পড়েছিল। অঘোরা যেন হাফ ছেড়ে বলে, তবে ? রাস্তা দেখে চলবে না, লেজে পা দেবে, সাপের কি দোষ ? গোবিন্দ বলে, দোষের কথা হচ্ছে না। দাদা । একটা গাড়ী-টাড়ী আনো ? নয়তো মাচ-টাচ করে হাসপাতালে দেবার ব্যবস্থা করা সবাই। এ সাপের ৰিষ ভারি চড়াদেখতে দেখতে পা-টা কি হয়ে যাচ্ছে দেখছি তা ? হা করে সবাই দাড়িয়ে থেকে না, চটপট একটা ব্যবস্থা করে 6यe । কুঞ্জ বলে, নকুলকে ডাকব না ? গোবিন্দ বলে, নকুল ওঝা-টোঝার কৰ্ম্ম নয়। হাসপাতালে নিয়ে চল চটপট । তখনো ভাল করে ফর্সা হয়নি। তবে গোটা দুই লণ্ঠন এসে গিয়েছিল । গোবিন্দের যন্ত্রণায় বিকৃত মুখের দিকে রেবতী পালকহীন চোখে চেয়ে মুখ বঁকিয়ে কি যেন ভাবে। সিক্তবসনা তার দিকে কে তাকাচ্ছে না তাকাচ্ছে এটা তার খেয়ালও থাকে না। আত্মভোলা হয়ে এতগুলি পুরুষের