পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ ইতিমধ্যে বেশ খানিকটা আচ্ছল্পের মত হয়ে পড়েছিল। সেই অবস্থাতেই সে রেবতীর মাথাটা হাত দিয়ে ঠেলে রেখে একটু জড়ানো সুরে বলে, করছি কি ? রেবতী অধীর হয়ে বলে, আঃ হাত সরাও না। বিষটা চুষে নেব। আমার মুখে ঘা-টা কিছু নেই। এই কথাই এতক্ষণ ভাবছিল। রেবতী । বছর দেড়েক আগে তার মামা-মামী এসেছিল। কয়েক দিনের জন্য। তারা নতুন লোক, বাস্তু সাপ নিয়ে ঘর করার অভ্যাস ছিল না । মামাকে কামড় দিয়েছিল। এই সাপটাই । রেবতীর মনে আছে নানা রকম টোটকা ব্যবস্থা সুরু হবার আগেই মামী কামড়ানোর যায়গায় মুখ লাগিয়ে চুষেচুষে বিষ আর রক্ত থুথু করে ফেলে দিয়েছিল অনেকক্ষণ &s মামা নাকি বেঁচে গিয়েছিল মামীর জন্যই । এ লোকটা তার কেউ নয়। কিন্তু যোয়ান একটা মানুষ তো ? তাদের ঘরের সাপটা একে কামড়েছে তো ? তার কি উচিত নয় বিষটা চুষে বার করে ওকে বঁাচাবার 65छे कब्र ? দাতগুলি ভাল ছিল না মামীর, মাড়ি ফুলে ব্যথা হত। 'বষ চুষে বার করে স্বামীর প্রাণটা বঁচিয়ে দিলেও মামীর মুখ ফুলে ঢোল হয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছুকাল সে কি যন্ত্রণাভোগ । ডাক্তার বলেছিল, যার মুখে ঘা নেই, দাত ভাল, ‘তায়ই শুধু সাপের বিষ চুষে বার করা সাজে। v