পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ ওষুধটা রেবতীও জানে। সাপে কামড়ালে চেরার মধ্যে এই দানা গুজে দিতে হয়। সে জিজ্ঞাসা করে, ওকে দিয়েছে, যাকে কামড়েছে ? ঃ দিয়েছি। কটা দানা মুখে ফেলে ঘটির জল নিয়ে কুলকুচে করা। অর্জন প্ৰতিবেশী। যোয়ান বয়েসী চাষী। গোড়ায় যে হাজির ছিল না, পরে খবর পেয়ে যখন সে আসে। রেবর্তী তখন গোবিন্দের ক্ষতের বিষ চুষে নিচ্ছিল। এক মুহুর্ত দাড়িয়ে ব্যাপার বুঝেই সে ছুটে গিয়েছিল পরেশ সাহার বাড়ী থেকে পারমাঙ্গানে আনতে । কুলকুচে করার ফঁাকে ফঁাকে রেবতী ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করে, মোর দাত ভাল, মুখ ফুলবে না তো ? অৰ্জ্জুন তাকে অভয় দেবার বদলে কড়া সুরে বলে, কে জানে ফুলবে কি না। জাতসাপের বিষ সোজা জিনিষ ? এত লোক থাকতে তোর বাহাদুরি করতে যাওয়া কেন ? ঢং শিখেছিস, না ? ঃ ঢং ? ঢং আবার কিসের ? ছিল তো সবাই, কেউ এগুলো না কেন ? মানুষটা মিছিমিছি। মরবে নাকি ? ঃ বড় যে দরদ দেখছি মানুষটার জন্য। খাতিরের লোক বুঝি, ऊँJ ওষুধের লাল জল খানিকটা প্ৰায় গিলে ফেলেছিল রেবতী, বিষম লাগায় রেহাই পায় সামলে উঠে চোখ পাকিয়ে অর্জনের দিকে চেয়ে বলে, কি বলাছ ছ্যাচরার মত ? লোকটাকে চিনি? জন্মোবয়সে