পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দের কথা তার মনে নেই। তাকে বঁাচাবার জন্য চাষীর ঘরের অজানা একটি মেয়েকে যে উচ্ছসিত প্ৰশংসা করেছিল তাও সে ভুলে গেছে। গরীব-মহলে হাসপাতালটার এ বদনাম আছে। মাঝে মাঝে অতি আশ্চৰ্য্যজনক ভাবে এক রোগে মর-মর রোগী আরেক রোগের ইনজেকসন লাভ করে বসে। অৰ্জ্জুনের অনেক দায়। দায় সামলাতে হিমসিম খেয়ে যায়। তবু সে গাঁটের পয়সা খরচ করে গঙ্গাধর ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ এনে রেবতীকে খেতে দেয়। সত্যই সে ওষুধে আশ্চৰ্য ফল দেখা যায়। কত চালাক হয়ে উঠেছে যোয়ান চাষা অর্জন । গঙ্গাধর ডাক্তারের কাছে সে রেবতীর নাম পৰ্য্যন্ত বলে ՇI जgoद्ध नभिN3 न । ভক্তি সহকারো প্ৰণাম করে জানায় যে বিষম তেজী বিষে রক্ত বিগড়ে গেছে। একজনার, একটা ব্যবস্থা দিতে হবে । কন্ধেতে তামাক প্ৰায় নেই বললেই চলে। তবু খানিকক্ষণ হুকোটা টেনে গঙ্গাধর বলে, হবে না ? যা দিনকাল। খালি কুসংসৰ্গ, খালি কুসংসর্গ। রক্ত বিগড়ে যাবে না ? গোপন রোগ ছাড়া যেন রোগ নেই দেশে । বায়োস্কোপ পৰ্য্যন্ত হয়ে গেছে গোপন পাপের ব্যারাম নিয়ে। হুকোটা গঙ্গাধর নামিয়ে রাখে প্ৰায় দেড়শো SUd