পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্ভব ? দেশের অবলাদের কত সাহস খবর রাখে না। তাই বুলি কপচায়। নিজে থেকে বুদ্ধি করে সাহস করে এইটুকু কচি মেয়ে যদি একটা মানুষকে বঁচাতে সাপের বিষ গিলতে পারে সুযোগ পেলে এ না পারে কি ? এরা ধরে রেখেছে, এদেশে মহাদেবেরাই শুধু নীলকণ্ঠ হতে পারেন, মেয়েরা শুধু হতে পারেন মোহিনীর দল। এ মেয়েটি নীলকণ্ঠী হয়ে তার জবাব দিয়েছে । সঙ্গী সাখী আত্মীয় বন্ধুদের কাছে কয়েকদিন মোটামুটি এমনিভাবে কথা বলে তেজপুরের সভাতে প্ৰায় এইভাবেই খগেন বক্তৃতা দেয়। এ সভার বেশীর ভাগ গেয়ে চাষাভুষো মানুষ। হাততালি দিতে জানে না। বসে দাড়িয়ে তারা অভিভূত হয়ে শোনে। নীলকণ্ঠ মহাদেবের সঙ্গে তুলনীয় নীলকণ্ঠী রেবতী । তাদের গায়ের রেবতী । তাদের খেয়াল হয়নি এটা ? এত অভিভূত হয়ে শোনে কিন্তু এবার গুঞ্জনধ্বনি ওঠে সারা সভা ছড়িয়ে । ষষ্ঠতলায় ফ্যাক মাঠে সভা। চাষের যোগ্য পতিত জমির প্রকাণ্ড মাঠে শ” চারেক মোটে লোক। আত্মীয়বন্ধু ঘনিষ্ঠতমদের ছোট ছোট ভাগেই জমাট হয়েছে সভাটা। সভা সুরু হবার অনেক আগে থেকেই গায়ে গায়ে ঘোষা ভাগগুলি বিচ্ছিন্নভাবে নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কি আলোচনা চালিয়ে সমগ্রভাবে গুঞ্জরিত করে তুলেছিল সমাবেশটা। সভা সুরু হবার পর চুপ হয়ে গিয়েছিল। সকলে। RQ)