পাতা:মাটি-ঘেঁষা মানুষ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চাশ বছর সে ঘর করছে নদের চাদের । পুকুরে যাওয়া ছাড়া, গরুটাকে মাঠে খুটি বেঁধে চরতে দিতে যাওয়া ছাড়া, তিথি আর পূজা-পার্বণে স্থায়ী শিবমন্দির অস্থায়ী পূজা-মণ্ডপে গিয়ে প্ৰণাম পূজা জানিয়ে LBDDBDBD DS BBB BB BDBDDD DD DD DS BDDB D DD না, কারো তোয়াক্কা রাখে না। বিশেষ রকম বিপদে পড়লে বরং গায়ের মেয়ে-বেীরাই তার কাছে লুকিয়ে যায়। ফুলের মা নির্বিকার ভাব নিয়ে বলে, না গো, আমি জানি নে কোন পিতিকার । আমি তো একটা গরু বাছা । মোর কাছে এয়েছিস পিতিকার চাইতে। খাটি-খুটি খাই-দাইঘুমোই—জানিও নে বুঝিও নে তোদের ব্যাপার-স্যাপার। গোপন প্ৰতিকারের জন্য বিপন্ন হয়ে যারা যায় তারা চুপ করে থাকে মুখখান কঁাদ” কঁাদ” করে। কেউ কেউ কেঁদেও C夺乙可1 ফুলের মা এক হাতে বুড়ো আম গাছের কাটা গুড়িটার গা থেকে কুড়োল দিয়ে চুপিয়ে চুপিয়ে চলক কাঠের ছিলতে তুলতে তুলতে মুখ না ফিরিয়েই বলে, কঁাদিস নে বাছা, ঘরে যা ! দেখি কি করা যায়। ফুলকে দিয়ে ডেকে পাঠালে সময় বুঝে সুযোগ বুঝে আসিস। কত কুমারী আর বিধবাকে সে যে কতকাল ধরে বঁচিয়ে দিয়ে আসছে সামাজিক সন্ত্রাসবাদের বিপদ থেকে । নদের চাদের সঙ্গে সঙ্গেই প্ৰায় সকলে চলে যায় । সাধু আর চরণদাস গা ঘোষা ঘোষি করে জাকিয়ে বসে। কিন্তু হায় রে তাদের হিসাব-নিকাশ । Vo