পাতা:মাদল - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o করিয়াছেন। চারণদিগের গাথার মধ্যে যেগুলি ঐতিহাসিক, তাহাই ছাপা হইয়াছে, কিন্তু নানারূপ প্রণয়-ঘটিত ও সামাজিক কাহিনী লইয়া যে সকল উৎকৃষ্ট গাথা রচিত হইয়াছিল-তােহা এখনও কেহ প্ৰকাশ করেন নাই । ইহাদের পদ্যানুবাদ করিলে তাহা বঙ্গভাষায় একটি স্থায়ী কীক্তি হইবে। আমরা আশান্বিত হৃদয়ে এই ভাণ্ডার প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করিয়া রহিলাম। এই মহাকাৰ্য্য তঁহার দ্বারা সম্পন্ন হইলে, তঁহাকে আর আমরা বাঙ্গলার বাহিরের লোক বলিয়া মনে করিব না, বঙ্গ-বাণীর কুঞ্জে র্তাহার জন্য আমরা একটি বিশিষ্ট পুষ্পাসন পাতিয়া রাখিব। এই কবিতাগুলি-বিশেষ “প্ৰতিশোধ” শীর্ষক কাহিনীটি পড়িয়া আমার ধারণা হইয়াছে, যে কাৰ্য্যে ইনি ব্ৰতী হইয়াছেন, তাহাতে তিনি সফলতা অর্জন করিবেন। এই ছোট কাব্যটিতে ইনি বাঙ্গালা ছন্দ ও শব্দের উপর যথেষ্ট অধিকার প্রতিপন্ন করিয়াছেন । এই বিদেশী তরুণ বন্ধুটিকে আমরা বঙ্গসাহিত্যের আসরে সাদরে অভ্যর্থনা করিতেছি । আর একজন বিদেশী লেখক বঙ্গ সাহিত্যের জন্য প্ৰাণপণ পরিশ্রম করিয়াছিলেন ; সেই মহারাষ্ট্র ব্রাহ্মণটি তঁহার মাথার পাগড়ি খুলিয়া ফেলিয়া বাঙ্গালীর ধূতি চাদর পরিয়া ঠিক বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ সাজিয়াছিলেন। তঁহার বাঙ্গালা যেমনই পরিশুদ্ধ, তেমনই স্বাভাবিক হইয়াছিল। বঙ্গভারতী সখারাম গণেশ দেউস্কর মহাশয়কে তঁহার অন্তরঙ্গ ভক্তের পর্য্যায়ে স্থান দিয়াছেন। আশা করি চাদমল অচিরে সেই পংক্তিতে স্বকীয় গুণ-লব্ধ আসন গ্ৰহণ করিবেন । বেহালা দীনেশচন্দ্ৰ সেন ২৬ শে সেপ্টেম্বর ১৯৩১ ଵି c