আদিত্যে লৈল॥ দল বল সঙ্গে, পুনরপি রঙ্গে, চলে মানসিংহ রায়। ললিত সুছন্দে, পরম আনন্দে, রায় গুণাকর গায়॥
রণজয়ভেরী বাজে রে। ঝাঁগড় ঝাঁগড় ঝাঁ ঝাঁ ঝাঁজে
রে॥ রণজয় করি, মুণ্ডমালা পরি, কালী সাজে রে।
শ্বেত অলি শিব, সে নীলরাজীব, রাজীরাজে রে॥
গাইছে যোগিনী, নাচিছে ডাকিনী, দানা গাজে রে।
মহোৎসব যত, কি কবে ভারত, সেনামাঝে রে॥ ধ্রু॥
প্রতাপ আদিত্য রায়ে পিঁজরা ভরিয়া। চলে রাজা মানসিংহ জয়ডঙ্কা দিয়া। কচুরায় পাইল যশোরজিত নাম। সেই রাজ্যে রাজা হৈল পূর্ণ মনস্কাম॥ মজুন্দারে মানসিংহ কহিলা কিবল। পাতশার হজুরে আমার সঙ্গে চল॥ পাতশার সহিত সাক্ষাত মিলাইব। রাজ্য দিয়া ফরমানী রাজা করাইব॥ অন্নপূর্ণা ভগবতী তোমার সহায়। জয়ী হয়ে যাই আমি তোমার দয়ায়॥ নানামতে অন্নপূর্ণা দেবীরে পূজিয়া। চলিলেন মজুন্দারে সংহতি লইয়া॥ অন্নপূর্ণা দেবীরে পূজিয়া মজুন্দার। মানসিংহ সংহতি চলিলা দরবার॥ মহামায়া মাহেশ্বরী মহিষমর্দ্দিনী। মোহরূপা মহাকালী মহেশমোহিনী॥ কৃপাময়ি কাতর কিঙ্করে কৃপাকর। তোমা বিনা কেবা আর করুণা আকর॥ রাজার মঙ্গল কর রাজ্যের কুশল। যে শুনে এ গীত তার করহ মঙ্গল॥ এত দূরে পালা গীত হৈল সমাপন। ইতঃপর রজনীতে গাব জাগরণ॥ কৃষ্ণচন্দ্র আজ্ঞায় ভারতচন্দ্র গায়। হরি হরি বল সবে পালা হৈল সায়॥
ইতি বৃহস্পতিবারের দিবা পালা।