পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অযোধ্যা বর্ণন।
৩১

হইলা জহ্নু ঘাটে॥ রাজা ভগীরথ রায়, আগে২ নাচি যায়, সাধু সাধু কহে দেবগণ। পূর্ব্বে গেলা পদ্মা হয়ে, ভাগীরথী নাম লয়ে মোর দেশে দিলা দরশন॥ গিরিয়া মোহনা দিয়া, অগ্রদ্বীপ নিরখিয়া, নবদ্বীপে পশ্চিম বাহিনী। পুনশ্চ ত্রিবেণী হৈলা, দক্ষিণ প্রয়াগ কৈলা, ত্রিবেণীতে ত্রিলোকতারিণী॥ শতমুখী রূপ ধরি, সাগর সঙ্গম করি, মুক্ত কৈলা সগর সন্তানে। বেদ যার বিজ্ঞ নহে, কে তার মহিমা কহে, ভারত কি কবে কিবা জানে॥


অযোধ্যা বর্ণন।

জানকী জীবন রাম। নব দূর্ব্বাদল শ্যাম॥
ভবপারাবারে, পারকরিবারে, তরণি রামের
নাম। চারুজটাজুট, রচিত মুকুট, তাহে
বনফুল দাম॥ হাতে শরাসন, দক্ষিণে
লক্ষ্মণ, ধ্যানে সুখমোক্ষ ধাম। হনুমান সঙ্গে
পুলকিত অঙ্গে, ভারত করে প্রণাম॥ ধ্রু ॥

 প্রয়াগ হইতে যাত্রা কৈলা মজুন্দার। ডানি বামে যত গ্রাম কত কব তার॥ দাসু বাসু নিবেদয়ে শুনহ ঠাকুর। এথা হইতে অযোধ্যা নগর কত দূর। দেখিব রামের বাড়ী এবড় বাসনা। কৃপা করি মো সবার পূরাহ কামনা॥ কহিলেন মজুন্দার কিছু ফের হয়। যে হৌক সে হৌক তথা যাওন নিশ্চয়॥ দেখে যেই জন রাম জনম ভবন। ধরায় ধরিয়া তনু ধন্য সেই জন॥ জিজ্ঞাসিয়া পথিকে পথের ভেদজানি। উত্তরিলা অযোধ্যা রামের রাজধানী॥ অযোধ্যায় গিয়া দেখিলেন মজুন্দার। যে যেখানে রামচন্দ্র করিলা বিহার॥ অযোধ্যা নিবাসি যত ব্রাহ্মণ পণ্ডিত। মজন্দারে