পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
বড়রাণীর নিকটে সাধীর বাক্য।

 বড় ঠাকুরাণীর গো। ঠাকুর হইয়া রাজা তুমি রাণী গো॥ যুবা সুয়া বুড়া দুয়া সবে জানি গো। সুয়া যদি হবে শুন মোর বাহী গো। মাধী লয়ে ছোট করে কানাকানি গো। তোমারে না দিবে হেন অনুমানি গো॥ মাধী পাছে পড়ি দেয় পাণ পানি গো॥ কত মন্ত্র তন্ত্র জানে সে নাপানী গো॥ ছোট যুবা প্রভু তাহে যুবজানি গো। আধবুড়া তুমি তাহে অভিমানি গো॥ ছোটর ঘরেতে হবে রাজধানী গো। তারি ঘরে ঠাকুরের আমদানী গো॥ ছোটরে বলিবে লোকে মহারাণী গো। তোমারে বলিবে বুড়া ঠাকুরাণী গো॥ হাত তোলা মত পাবে অন্ন পানি গো। বড়হয়ে ছোট হবে মানহানি গো॥ পুত্রবতী গুণবতী বট জানি গো॥ যৌবনে সে পতিমন লবে টানি গো। রূপেবতী লক্ষ্মী গুণবতী বাণী গো। রূপেতে লক্ষ্মীর বশ চক্রপাণি গো॥ আগে যদি ঠাকুরেরে ডাকি আনি গো। ছোট পাছে পথে করে টানাটানি গো॥ টেনে টুনে বাঁধ ছাঁদ খোঁপাখানি গো। শাড়ী পর চিক২ শ্রীরামখানি গো॥ দেহুড়ীর কাছে থাক হয়ে দানী গো। ঘরে আন ধরে করে টানাটানি গো॥ পতি লয়ে দু সতিনে হানাহানি গো॥


ছোট রাণীর নিকটে মাধীর বাক্য।

 সাধীর বচন শুনি, চন্দ্রমুখী মনে গুণি, বটে বটে বলিয়া উঠিলা। মন করে ধড়ফড়, বেশ কৈলা দড়বড়, পতি ভুলাইতে মন দিলা॥ খোঁপা বাঁধি তাড়াতাড়ি, পরিয়া চিকণ শাড়ী, পড়িয়া কাজল চক্ষে দিলা। পড়া তৈল মুখে মাখি, পড়া ফুল চুলে রাখি, নানামন্ত্রে সিন্দূর পরিলা॥ পরি পড়া গন্ধ চুয়া, মুখে