পাতা:মানসিংহ - ভারতচন্দ্র রায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
পতিলয়ে দুই সতিনের ব্যঙ্গোক্তি।

হাব অনুভবে ভাব কহে যেবা যার॥ সক-
লে সমান ভাব, সকলে সমান হাব, বিশ্ব-
পতি শ্যামরায় কহে কেবা কার। সব
গোপী এক সাতে, লুটিলেক গোপীনাথে,
ভারত দোহাই দেয় মদন রাজার॥ ধ্রু॥

 মাধবী বচনে পদ্মমুখী ত্বরান্বিতা। দেহুড়ীর কাছে গিয়া হৈল উপনীতা॥ গলায় অঞ্চল দিয়া কৈলা নমস্কার। আঁখিঠারে সম্ভাষ করিলা মজুন্দার। পদ্মমুখী তুষ্ট হৈলা ইসারা পাইয়া। হাসিয়া কহেন প্রভু কেন দাঁড়াইয়া॥ বড় দিদী দাঁড়াইয়া কেন দুঃখ পান। উচিত যে উহারি মন্দিরে আগে যান॥ মজুন্দার বুঝিলেন পদ্মামুখী ধীরা। দুজনে সমুখে করি দাড়াইলা ফিরা॥ দুসতিনে কন্দল নহিলে রস নহে। দোষ গুণ বুঝা চাই কে কেমন কহে॥ রসিকের স্থানে হয় রসের বিস্তার। সাধী মাধী দুজনে কহিলা মজুন্দার॥ দুজনার ঘরে গিয়া দুইজনা থাক। ডাকাডাকি না কর সহিতে নারি ডাক॥ কামের করাতে ভাগ করি কলেবরে। সম ভাবে রব গিয়া দুজনার ঘরে॥ দুটায় মরিস কেন ডাকাডাকি করি। তারি কাছে আগে যাব যে লইবে ধরি॥ এত শুনি সাধী মাধী অন্তর হইল। দুজনার ঘরে গিয়া দুজনা রহিল॥ পদ্মমুখী কহে ভাল আজ্ঞা দিলা স্বামী। ধরি লৈতে তোমারেত না পারিব আমি॥ বড়দিদী বড় সুয়া সবকালে বড়। ধরি লৈতে উনি বিনা কেবা হবে দড়। চন্দ্রমুখী কন বুঝি ব্যঙ্গ কৈলা বড়। দড় ছিনু যখন তখনি ছিনু দড়॥ তিন ছেলে কোলে আর দড় হব কবে। আটে পীঠে দড় যেই সেই দড় হবে। দড় বেলা ফিরি-