জননী ংসারের যেখানে বোতাম ছিড়িয়া ফাক বাহির হয় সেখানে সেফটিপিন গুজিয়া কাজ চালাইতে তাহার বাধে না । ছেলেদের জীবনের প্রত্যেকটি মিনিটের হিসাব রাখা আর হইয় ওঠে না, বিধান দেরি করিয়া বাড়ি ফিরিলে কারণ জিজ্ঞাসা করিতে সে তুলিয়া যায়, শীভের সন্ধ্যায়। ফণীর পায়ে মোজা না উঠিলেও তার চলে। ঘরের আনাচে কানাচে ধূলাবালি, জাম-কাপড়ে ময়লা, চৌবাচ্চায় শ্যাওলা জমিতে পারে। নূতন যারা শ্যামাকে দেখিল তারা কিছু বুঝিতে পারে না, অ্যাগে যারা তাহাকে দেখিয়াছে তারাই শুধু টের পায় বনৰ্গা তাহাকে কি ভাবে বদলাইয়া দিয়াছে । আবার শীত শেষ হইয়া আসিল । ফান্তুন মাসে একটি কন্যা জন্মিল শ্যামার। বকুল বুঝি আবার সুরু হইল গোড়া হইতে । কিন্তু বকুলের কি সুন্দর দু’টি ডাগর চোখ ছিল । এ মেয়ের চোখ কোথায় ? হায়, শ্যামার মেয়ে জন্মিয়াছে অন্ধ হইয়া । গাভের অনাদিকালের অন্ধকারে তাকে ঘিরিয়া রহিল, এ জগতের আলো সে চিনিবে না কোনদিন । জন্মান্ধি ? কার পাপের ফল ভোগ করিতে তুই পৃথিবীতে আসিলি খুকি ! দৃষ্টি তোর হরণ করিল কে ? ভাবিতে ভাবিতে শ্যামা স্মরণ করে, বনগাঁয়ে একদিন সন্ধ্যার সময় কলাবাগানের ছায়ার মত কি যেন দেখিয়া তার গা ছমছম করিয়াছিল, স্বানের আগে এলোচুলে তেল মাখিবার সময় আর একদিন পাগল হাবুৱা বুড়ি দিদিমা তাহাকে দেখিয়া ফেলিয়াছিল, অজ্ঞাতসারে আরও কবে কি ঘটিয়াছিল কে জানে । ik DD LBBB DBDBD DBDS DBDD BBB DLD DBD BDBBBDD S DDD S BDBBS যেমন সে করিয়াছিল। বকুলকে, যার ডাগর দুটি চোখ শ্যামাকে অবিরত অবাক করিয়া রাখিত । দু’মাস বয়স হইতে না হইতে শীতল মেয়েকে বড় ভাল বাসিল। বিধান একটা ঠাকুর আনিয়াছিল, তাহাকে ছাড়াইয়া দিয়া শ্যামা আবার ব্লাল্লা আরম্ভ করিলে মেয়ে কোলে করিয়া বসিয়া থাকার কাজটা পাইয়া শীতল ভারি খুশী। এখানে আসিয়া বনগাঁর পোষা কুকুরটির জন্য শীতলের মন কেমন করিত, খুকিকে কোলে পাইয়া কুকুরের শোক সে ভুলিয়া গেল । শীতলের বা পায়ের বেদনাটা আবার চাড়া দিয়া উঠিয়াছে। এ জন্য y »ቅ..
