সহরতলী সত্যপ্রিয়কে খুন্সী করিতে বিবাহ করিয়াছে। সত্যপ্ৰিয়র একটা মত আছে, বিবাহ না করিলে দায়িত্বজ্ঞান জন্মায় না। দায়িত্বজ্ঞান জন্মায় নাই যার চাকুরীর উন্নতি দূরে থাক চাকুরীটা বজায় রাখাই কি তার পক্ষে কঠিন নয় ? সুতরাং একদিন যশোদাকে জ্যোতিৰ্ম্ময় নিজেই এই ধরণের কথা বলিয়াছিল, মেয়ে খোজার সময় । BBD BY S DDB DD g LSzY BB DDSS SBDBDD DBDBBS SgDBBD একটা বিবাহদি করে ফেলুন জ্যোতিৰ্ম্ময়বাবু, বিবাহাদি না করলে কি দায়িত্বজ্ঞান জন্ম |ায়, দায়িত্বজ্ঞান না জন্মালে কি-” যশোদা হাসিয়া বলিয়াছিল, “তা বিয়ে করুন না, ভাল কথাই তো বলছেন। উনি, খোটা ছাড়া কি পুরুষ মানুষের চলে ?” “তুমিও ওই দলের চাদের মা ? কত্তার মতামত জান না। কিনা, তাই বলছি। ওর মতে বিয়ে করতে হলে কি করতে হবে জান, একটি সাত বছরের খুকীকে বিয়ে করতে হবে।” শেষ পৰ্য্যন্ত তাই করিয়াছে নাকি জ্যোতিৰ্ম্ময় ? সত্যপ্রিয়কে খুন্সী করার জন্য একটি খুকীকে বৌ করিয়া আনিয়াছে ? যশোদার বড় আপশোষ হয়। একটি বড় সড় মেয়ে হইলে কেমন মানাইত জ্যোতিৰ্ম্ময়ের সঙ্গে ! মনিবকে খুন্সী করিতে কেউ যে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ করিতে পারে, তাও এমন বেমানান একটি মেয়েকে, যশোদা কল্পনাও করিতে পারে না । তবে হয়তো সত্যপ্রিয় নিছক মনিব নয় জ্যোতিৰ্ম্ময়ের। সে ন্যাকি জ্যোতিৰ্ম্ময়কে খুব স্নেহ করে। সত্যপ্রিয়ের মত ধনীর স্নেহের মূল্য জ্যোতিৰ্ম্ময়ের মত মানুষেরা হয়ত এইভাবেই দেয়। এই সব লেখাপড়া শেখ ভদ্রলোকদের রকমই আলাদা । জ্যোতিৰ্ম্ময়ের বোন সুবৰ্ণ জিজ্ঞাসা করে, “কেমন বৌ হয়েছে যশোদাদিদি ? ‘তা মন্দ কি !” সুবণের বিবাহ হয় নাই, কিন্তু এমন সাজাটাই সে সাজিয়াছে যেন বিয়ের কনেট, আজিকার উৎসবটি যেন তারই বিবাহের ভূমিকা—সাজগোজেই যেখানে যত বর আছে সকলকে আজ সে আয়ত্ত করিয়া ব্ৰাখিৰে । আনন্দে ও উত্তেজনায় মেয়েটা ফাটিয়া পড়বার উপক্ৰম করিতেছিল, যশোদার জবাবে ३२६
