পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরতলী করবি আয় দিকি দাদা ।” BB DBDB BDBDS DBDSBDLD DBBSY BB DBDBDSDBDBD JD DBDDB চাকরী নইলে চলবে না, আজ যা না একবার জ্যোতিবাবুর আপিসে ?” “কি হবে গিয়ে ? কাজ দেবার মতলব ওদের নেই।” যশোদা রাগ করিয়া বলিল, “কাজ দেবার মতলব কার থাকে রে ছোড়া ? কাজ আদায় করে নিতে হয়। যা চেহারাটি করেছ নিজের, ভরসা করে কে তোমাকে কাজে লাগাতে চাইবে ? জ্যোতিবাবুকে বলছি গিয়ে আরেকবার, দুপুর বেলা একবার যাস। পয়সা চেয়ে নিয়ে যাস ট্রামের।” নন্দ চুপ করিয়া দাড়াইয়া পাঁচটি থালায় যশোদার ভাত বাড়া দেখিতে লাগিল । দরজা দিয়া দেখা যায় খাইতে বসিয়াছে তিনজন, পাঁচ থালা ভাত বাড়িবার দরকার ? চাকরীর সমস্যার চেয়ে এই সমস্যাটাই যেন নন্দকে পীড়ন করিতে লাগিল বেশী। শেষে থাকিতে না পারিয়া যশোদার ভুল সংশোধনের জন্য বলিল, “পাচ থালা বাড়ছি যে ? তিনজন বসেছে মোটে-কেষ্ট যতীন আর বলাই।’ “য থালা বাড়ি তোর তাতে কি ? তিনজন বসেছে তো আর কেউ বসতে জানে না ?? থালায় ভাজা, আলুসিদ্ধ আর চচ্চড়ি সাজাইয়া দিয়া যশোদা বাহির হইয়া গেল । রান্নাঘরেই যে কথা নন্দকে অনায়াসে বলা চলিত, উঠানে দাড়াইয়া সেই কথাগুলি পাড়াশুদ্ধ লোককে শুনাইবার মত জোর গলায় বলিল, “যার যা লাগে দিসরে নন্দ, আমি বাজারে গেলাম।” —মতি আবার একটু কানে কম শোনে, ঘণ্টাখানেকের মত যশোদা বাড়ী ছাড়িয়া গিয়াছে না জানিলে তাড়াতাড়ি দু’টি ভাত খাইয়া কাজে যাইবার সাহস বুড়োর হইবে না। বাজারে যশোদা যায় বটে, এ সময় কোনদিন যায় না । এত সকালে বাজারও ভালরকম বসে নাই, বাড়ীতেও দু’য়ে-চারে উনিশটি মানুষকে ভাত দিবার হাঙ্গামা । নন্দ এক কেন সামলাইতে পরিবে ? তবু যশোদা বাড়ীর বাহির হইয়া গেল। পেট ভরিয়া দু’টি ভাত-তরকারী খাইতে পাওয়া যাদের জীবনের চরম বিলাসিত, পেট ভরাইয়া কাজে গেলেও দিনটা অৰ্দ্ধেক কাবার হইতে না হইতে যাদের পেটে আবার ক্ষুধাৱ আগুন জলিতে থাকিবে, নিজে ভাত বাড়িয়া তাদের খাওয়ানোর দায়িত্বটা যশোদা হঠাৎ যেন ভুলিয়া গিয়াছে। 3ቖግ