পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मॉनेिक aयंहायजी खांडब्र दिवाश् श्व | কোন কালে বিবাহটী হইয়া যাইত, ওঘর হইতে জগতের এঘরে আসিয়া জগতের রোজগারে ভাগ বসাইয়া আরামে চাপা দিন কটাইতে পারিত, পোড়ারমুখী কালোর জন্য সব আটকাইয়া আছে। কালোর বিবাহ না দিয়া জগৎ নিজে আবার বিবাহ করিতে পারিতেছে না। একদিকে বাধা দিতেছে তার আধ-পাগলা মা, অন্যদিকে আটকাইতেছে টাকায়। “তোর মা কেমন আছে লো চাপা ? যশোদা জিজ্ঞাসা করিল। “জর নেই গো যশোদাদিদি ।” চাপার মার ঘরে উকি দিয়া যশোদা জগতের ঘরে গেল । ঘরের কোণায় ময়লা ছেড়া কাপড়ে নতুন বৌটির মত মস্ত ঘোমটা টানিয়া জগতের মা বসিয়াছিল। আর আপনমনে বিড়-বিড় করিয়া বকিতেছিল। বৌ সাজিবার পাগলামীটাই জগতের মারি বেশী প্ৰবল । দরজার কাছে বসিয়া হুক টানিতে টানিতে খোলা দরজা দিয়া জগত চাহিয়াছিল কলতলার দিকে। যশোদাকে দেখিয়া দৃষ্টিও সরাইয়া নিল, একটু ভিতরের দিকে সরিয়াও বসিল । চাপাকেই দেখিতেছিল বোধ হয় এতক্ষণ ।। সকালবেলা কোথা হইতে একটা কলকে ফুল যোগাড় করিয়া খোপায় গোঁজায় জগতের চোখে চাপার রূপটা বোধ হয় আজ বাড়িয়া গিয়াছে। জগৎ বলিল, “কালোকে কেমন ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল, দেখলে চাদের মা ?” যশোদা বলিল, “তুমি তো দেখেছি ? তাতেই হবে।” ‘কালোর সঙ্গে মোটে বনিবনা নেই চাপার ।” ‘কার সঙ্গে বা আছে ? যা স্বভাব মেয়ের ।” চাপার নিন্দায় ক্ষুন্ন হইয়া জগৎ মুখ ভার করিয়া থাকে আর তার মুখের। দিকে চাহিয়া যশোদা মনে মনে বলে, “ধিক তোমাকে । বোনটাকে আমন করে ঠেলে সরিয়ে দিলে, একটুকালের জন্যে না হয় একটু তুমি বিরাগ হতে চাপার ওপোর ?” ফিরিয়া যাওয়ার সময় যশোদার চোখে পড়ে, তখনও কালো মুখ ভার করিয়া কলতলার একপাশে দাড়াইয়া আছে। এরকম নীরব দুৰ্বল অভিমানও যশোদার দু'চোখে দেখিতে পারে না। কার উপর তুই মুখভাৱ করিয়া &e