পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহয়তলী স্বামীকে একেবারে ভাসাইয়া দিবার চেষ্টা করে, এমন লজাহীন বেহায়ার মত আচরণ করে যে, জ্যোতিৰ্ম্ময় প্ৰায় স্তম্ভিত হইয়া যায়। আবেগের আতিশয্যে কোনদিন নিজের চুল টানিয়া ছিড়িয়া ফেলিবার উপক্রম করে ; অস্বাভাবিক ফস। মুখখানা তাহার দেখায় রক্তবর্ণ, চোখ হইয়া থাকে বিস্ফারিত। পরিসমাপ্তিটাই জ্যোতিৰ্ম্ময়াকে সবচেয়ে বেশী বিব্রত করে । অকারণে কঁদিতে আরম্ভ করিয়া অপরাজিত বলিতে থাকে, ‘লোকে বেীকে কত ভালবাসে, তুমি আমায় একটুও ভালবাস না ।” কিছুতেই কি সে থামে । জ্যোতিৰ্ম্ময় যতই বুঝাইবার চেষ্টা করে যে, অন্য যত স্বামী আছে পৃথিবীতে তাদের সকলের চেয়ে সেই বেশী ভালবাসে তার বৌকে, অপরাজিতা তত বেশী কঁদে আর তত বেশী অনুযোগ করে । পরদিন নটা দশটার আগে কোনমতে অপরাজি তাকে তোলা যায় না, সুবৰ্ণ গিয়া জাগাইয়া দিলেও তার হাত ছুড়িয়া দিয়া পাশ ফিরিয়া তৎক্ষণাৎ আবার ঘুমাইয় পড়ে। ঘুম যখন ভাঙ্গে, বুঝিতে যখন পারে, সে কে এবং কোথায় আছে, তাড়া তাড়ি উঠতে গিয়া মাথা ঘুরিয়া পড়িয়া যাওয়ার উপক্রম হয় । কোন রকমে সে নীচে যায়, লাজায় ভয়ে কাঠ হইয়া থাকে। অন্য সময়, অন্য অবস্থায়, অন্য লোক তার মুখ আর কালিপড়া চোখ দেখিয়াই তৎক্ষণাৎ হয়তো তাকে বিছানায় ফেরত পঠাইয়া তাড়াতাড়ি DDBBD DBDB DBBDBSDBDD BDBDS S BBBDDS S S DDD BD BBDD BBBBD অসুখের ঝড়েই একরাত্রে মেয়েটার অবস্থা হইয়াছে দুমড়ানো মোচড়ানো চারার মত ? প্ৰতিদিনকার মত কালও সে নিয়মিত খাইয়া-দাইয়া ঘরে গিয়াছিল, কাল বরং অন্যদিনের চেয়ে তাকে মনে হইয়াছিল একটু বেশী সজীব আর হাঁসি-খুসী। তা ছাড়া, অনেক রাত্রে তার হাসি আর কথার শব্দও তো বাড়ীর লোকের কানে আসিয়াছে কিছু কিছু । তাই সুধীরা মুখ বাকাইয়া শুধু বলে, “হঃ।” আর সুবৰ্ণ কেবলি মুচকি মুচকি হাসে, আড়ালে ডাকিয়া নিয়া গত রজনীর ইতিহাস সব না হোক কিছু শুনিবার জন্য কেবলি খোচায়, তোষামোদ করে আর কেবলি ভয় দেখায়, “না। যদি বল বৌদি, আমার বিয়ে হলে একটি কথা তোমায় বলব না।” জ্যোতিৰ্ম্ময় কিছু স্থাখেও না, বলেও না । ঘুম ভাঙ্গিবার পর আর SCe