পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্ৰন্থাবলী উঠিয়া আলো জালিয়া : “যাক গে। মরুক গে। যা করেছিস, বেশ করেছিস । কি খেতে দি? তোকে এখন আমি !! লুচি পোলাউ ফেলে এলি, ঘরে যা আছে তা কি তোর মুখে রুচিবে ? দাড়া, আনিয়ে দিচ্ছি।” রাত তখন এগারটা বাজিয়া গিয়াছে। সুধীরকে সঙ্গে নিয়া গিয়া সেই রাত্রে যশোদা তার শত্রু ও সখি কুমুদিনীকে ডাকিয়া তুলিয়া তার স্বামীর সাইকেলে সুধীরকে খাবার আনিতে পাঠাইয়া দিল। কুমুদিনীর স্বামীর টিফিন ক্যারিয়ারটিও সঙ্গে দিল । “যত শীগগির পার ফিরে আসবে কিন্তু-জোরে জোরে চালিয়ে যাও ।” এক ঘণ্টা পরে সুধীর ফিরিয়া আসিল। যশোদার ফরমাস মত সব জিনিষ সে পায় নাই, তবে অনেক কিছুই আনিয়াছে। লুচি, তরকারী, ডাল, ংস, ডিম ভাজা, মামলেট, সাত রকম মিষ্টি, দই এবং রাবিড়ী। রাগ ও Bu BBD DKBDS DD LD BBD S KK DBBLD DDDDDS0 S SBuBBD DS DBBD BBB নন্দকে সব খাইতে দেওয়ার সাহস তার হইল না । অৰ্দ্ধেকের বেশী তুলিয়া রাখিল, বাকীটা ভাগ করিয়া দিল সুধীর আর নন্দকে । “পেট ভরেনি দিদি ।” “খুব ভরেছে, এবার ওঠ।” “সন্দেশ দাও আরেকটা ।” “উহু, যা খেয়েছ তাতেই তোমার অসুখ হয়। কিনা দৃষ্ঠাখো, আর সন্দেশ খায় না।’ ধনঞ্জয়ের কথা যশোদার মনে পড়িতেছিল । সমস্ত খাবারটাই তাকে নির্ভাবনায় দেওয়া চলিত, অসুখের কথা ভাবিতে হইত না। মানুষটা খাওয়ায় ছিল ভীম, হজমশক্তিতে অগস্ত্য। ভাবিতে ভাবিতে যশোদার মনে পড়ে যে, খাইয়া ধনঞ্জয়ের পেট ভরিত কিনা একথা তো একদিনও সে তাকে জিজ্ঞাসা করে নাই! এ বাড়ীর সকলেই যতক্ষণ ক্ষুধা না মেটে চাহিয়া খায়, এ বিষয়ে যে সঙ্কোচ করিবার কিছু থাকিতে পারে কারও তা মনেও আসে না । কিন্তু ধনঞ্জয়ের মত যে বেশী খায়, একজনে তিন চার জনের ভাত, তার হয় তো একটু লজ্জা করিত বার বার চাহিয়া খাইতে। মোটামুটি আন্দাজ করিয়াই অবশ্য যশোদা তাকে সব দিত, তবু পরের পেটের খবর কি আন্দাজে লোকে &bb