পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाविक यहां वनौ একদিন তারা আবার আসিয়া দাড়ায় যশোদার কাছে। কিছুদিন পরে হয় তো তাদের একজনকে দেখা যায় একটি আপিসের বারান্দায় বুকের কাছে লাল ওরফে অফিসের নামের সঙ্কেত লেখা লম্বা কোটি গায়ে চাপাইয়া কলিংবেলের টুং টুং আওয়াজের প্রতীক্ষায় টুলে বসিয়া ঢুলিতেছে, আরেকজনকে BD DBD KSBDDD DDBDB BDSDSBD SDB DBD DBDBBB S DD qe পয়সা ) পাড়ার চা-প্রিয় ছেলে-বুড়োকে চা সরবরাহ করিতেছে। মুখের উপর হইতে একটা পর্দা যেন সরিয়া গিয়াছে দু’জনেরই, জীবন-যাপনে দু’জনেই বেশ মশগুল । যশোদা কি করিয়া টের পায় ভগবান জানেন, বোধ হয় অনেকদিন এদের সঙ্গে এদেরই একজন হইয়া বাস করিতেছে বলিয়া, কয়েক জন অলস ও অকৰ্ম্মণ্যকে কেবল জীবিকা অর্জনের ভিন্ন পথ ধরাইয়া সে কাজের মানুষ করিয়া তুলিয়াছে। তার সখি কুমুদিনীর বাড়ীর ঠিক পাশে ন’কড়ি ছিল কুঁড়ে, একমাসের বেশী ন’কড়ি কোথাও চাকরীতে টিকিয়া থাকিতে পারিত না, তার ছেলেমেয়ে বৌ-এর সে কি দুৰ্দশা! একবার যশোদার একখানা শাড়ী মাঝামাঝি ভাগ করিয়া ন’কড়ির বে। আর মেয়ের তিনদিন ঘরের মধ্যে আটক থাকিবার পর বাহিৱে আসিতে পারিয়াছিল। তারপর যশোদা ন’কড়ির তাড়িখানায় চাকরী করিয়া দিয়াছে, এবং জীবন যুদ্ধে এই চাকরীর কৰ্ম্মটী ন’কড়ির গায়ে যেন আঁটিয়া বসিয়া গিয়াছে, কোনোদিন খসিয়া পড়িবে না। আর সম্প্রতি ন’কড়ির বেী একখানা নতুন ডুরে শাড়ি পরিয়া সমস্ত পাড়া ঘুরিয়া সকলকে দেখাইয়া বেড়াইয়াছে, যশোদাকে পৰ্য্যন্ত ! ধনঞ্জয়ের জন্য কাজ জোগাড় করিতে গিয়া যশোদা কিন্তু বিপদে পড়িয়া গেল। একেবারে আনাড়ি মানুষটা, কোন কাজ জানে না, কাজ শিখিবার বয়সও চলিয়া গিয়াছে। গায়ে জোৱ আছে, মাথায় মোট বহা আর ঠেলাগাড়ী ঠেলার মত যেসব কাজ শুধু গায়ে জোর থাকিলেই মোটামুটি করা যায়, সে সব কাজও লোকটা করিবে না-অপমান হইবে । সন্থও বোধ হয় হইবে না, প্ৰকাণ্ড একটা দেহ থাকিলেই তো কষ্ট সহ করার শক্তি জন্মায় না। চাষবাসের কাজ জানে, কিন্তু এখানে চাষবাসের কাজ যশোদা কোথায় পাইবে । & 8