भांनेिक श्हांवनौ তাকে পাঠাইবার ব্যবস্থা করিবে বলায় পরেশের বে। আপত্তি করিল, মিনতি করিয়া বলিল, “না দিদি, পুরুষের সঙ্গে যাব না।” “নন্দ তো ছেলেমানুষ, খোকার মা ?” হোক ছেলেমানুষ, পুরুষমানুষ তো, নন্দর সঙ্গে তাকে যাইতে দেখিলেই তার বাবা সন্দেহ করিবে, পাড়া-প্ৰতিবেশী সন্দেহ কৱিবে । “তুমি আমায় দিয়ে এসে দিদি, পায়ে পড়ি তোমার।’ ধনঞ্জয়কে সঙ্গে করিয়া যশোদা পরেশের বৌকে পরদিন সকালবেলা তার বাপের বাড়ী পৌছিয়া দিল। তারপর গেল মন্দিরে। এককালে এ অঞ্চলও নাকি সহরতলী ছিল । কবে ? যখন এখানে সবে সহরের পত্তন হইয়াছিল, তখন ? ধনঞ্জয় মস্ত বিদ্বান, স্কুলে ইতিহাস পড়িয়া যত বড় শরীর প্রায় তত বড় ঐতিহাসিকে পরিণত হইয়া গিয়াছে। সে বলিল, “কলকাতা সহর যখন পত্তন হয়, সেই ইংরেজ আমলে, এটা তখন গা ছিল ?’ “সেই ইংরেজ আমল মানে ? এটা কোন আমল ?” *ইংরেজ আমলের গোড়ার দিকে গো । ঐ যে ভবানীপুর না, যেখানটা এখন আসল সহর, ঐখানটাও আগে সহরতলী ছিল, শ্যাল ডাকত দিনদুপারে।” ཀཱཀྱའ།” “দ্যুৎ ? কেন, দূ্যৎ কেন ? তিনটে গা নিয়ে হল কলকাতা সহর, তা হলে একদিন ভবানীপুর কেন চৌরঙ্গীতে তো শ্যাল ডাকতে পারত অনায়াসে, ७थानों यथन शै। छिल ' কথাটা বিবেচনা করিয়া যশোদা বলিল, “সে হিসাবে সব জাগাই তো ५ीककांएल १ाँ छिल ।' ধনঞ্জয় করুণার হাসি হাসিয়া বলিল, “তা কেন হবে ? কলকাতা হল ংলার রাজধানী, ভারতবর্ষের রাজধানী হল দিল্পী । কলকাতার যখন চিহ্নও ছিল না। তখনও দিল্পী সহর ছিল । এটা সহর নাকি ? এটা হল—এটা হল। নৱক । বাঙালীরা খুব বজাত কিনা তাই ইংরেজরা তাদের জন্যে এই নরক বানিয়েছে, কলকাতা শহর তাছে বলেই তো বাঙালীর এই দুৰ্দশা । ছেলেগুলো একবার কলকাতা আসে আর বিগড়ে যায়, আমাদের গায়ে কত ছেলে অমন গেছে। একটা বহুৱা তুমি কলকাতা থাক, বাস আর গায়ে গিয়ে বাস २१”
