পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্রন্থাবলী বিবরণ এবং যশোদার কালীঘাট যাওয়ার প্রয়োজন খুটিয়া খুটিয়া জানিয়া একটু যেন শান্ত হইল মনটা । যশোদা বাধ্য হইয়া গিয়াছে। হয়তো সুধীরের কাজে যাওয়া হইবে না ভাবিয়াই বেকার ধনঞ্জয়াকে সঙ্গে নিয়া গিয়াছে গিয়াছে। তবু, সব কথা একবার তো সে বলিতে পারিত যে, এই দরকারে আমি এখানে যাচ্ছি সুধীর, তোমার কাজ কামাই হবে তাই ধনঞ্জয়াকে সঙ্গে নিয়ে গেলাম !-- এ ভাবে তাকে জানাইয়া যাওয়ার অর্থই যে তার অনুমতি নিয়া যশোদার কালীঘাটে যাওয়া এবং তার অনুমতি নিয়া যশোদার কোন কাজ করার সঙ্গত বা অসঙ্গত কোন কারণই থাকিতে পারে না, এসব সুধীরের মাথায় আসে না। অত সব ভাবিবার জানিবার বা বুঝিবার ক্ষমতা তো তার নাই । সে রাগ করিতে জানে, তাই সোজাসুজি যশোদার উপর রাগ করে । তারপর সে ইয়াডে যায় কাজ করিতে । ওয়াগনে কুলীর মাল বোঝাই দেয়, সুধীর সদারি করে। মাল তুলিতে BDB S DBDBDBD BDBDS BBBB DLBDuD BBSDuBD DDD DDD uBBS হঠাৎ ওয়াগনের ভিতরে ঢুকিয়া একটা মাল এদিকে একটা মাল ওদিকে কয়েক ইঞ্চি সরাইয়া দেয়, থাকিয়া থাকিয়া বস্তাগুলি গোণে আর রসিককে জিজ্ঞাসা করে, “কটা বস্তা যাবে বললেন আজ্ঞে এটাতে ?” । রাজেন যশোদার সখি কুমুদিনীর স্বামী, রাজেনকে বলিয়াই যশোদা এখানে সুধীরের কাজ। জুটাইয়া দিয়াছে। কুমুদিনী জানিলে অবশ্য যশোদার লোককে কাজ দেওয়ার সাহস রাজেনের হইত না, কিন্তু কুমুদিনী জানে না। যশোদাকে রাজেন পছন্দ করে, ভয় আর খাতিরও করে—কিন্তু সেটা কুমুদিনীর অজ্ঞাতই আছে । আড়ালে যাই বলুক দেখা হইলে কুমুদিনী সখির মত আলাপ করে যশোদার সঙ্গে, তখন তার কথা শুনিয়া আর মুখের ভাব দেখিয়া কে অনুমান করিবে যশোদাকে সে দু'চোখে দেখিতে পারে না, যশোদার নাম শুনিলেই র্তার মোটা শরীরের ঢ়িলা চামড়ায় জালা ধরিয়া যায়। যশোদার কাছে কোন উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা ঘটলে নির্বিবাদে সেটা আদর করিয়া নিতেও কুমুদিনীকে কোন দিন কুষ্ঠিত দেখা যায় নাই। উপকার পাওয়ার পরেই যশোদার নিন্দায় কুমুদিনী মুখর হইয়া উঠিলে রাজেন প্ৰায় নিৰ্ব্বিকারভাবেই ট্ৰীৱ কথাগুলি শুনিয়া যায়, মাঝে মাঝে সায় দিয়া বিস্ময় ও বিৱাগের ኣካ”ቆ