পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि aiहांदनी সেদিন এই পৰ্যন্ত। দিন তিনেক চুপচাপ থাকিয়া যশোদা আবার অন্যভাবে কথাটা পাড়িল ৷ ‘চাপা বড় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে, এমন মায়া হয় মেয়েটাকে দেখলে । তুমি যদি বিয়ে করে ওকে, বডড খুন্সী হব আমি।” “চাপাকে ? চাপার কি মায়ামমতা কিছু আছে চাদের মা ? ওর চেয়ে কালো ঢের ভালে |’ তারপর যশোদা ঘটকালি করিয়া কালোর সঙ্গে সাধীরের বিবাহ ঠিক করিয়া ফেলিল। বলিল, “খরচার টাকাটা কিন্তু ফেরৎ দিতে হবে বাবু। দুটাকা চার টাকা করে দিয়ে, কিন্তু যদিনে হোক শোধ করে দিতেই হবে । তুমি আমার এমন কিছু সাতপুরুষের কুটুম নও যে, তোমার ঘর-সংসার পাততে গিয়ে আমি ফতুর হব।” একদিনে দু’টি বিবাহ হইয়া গেল, সুধীরের সঙ্গে কালোর আর জগতের সঙ্গে চাপার । ক’দিন পরে সত্যপ্ৰিয়ের ছোটমেয়ের বিবাহ, এখন হইতে গেটে শানাই বাজিতে আরম্ভ করিয়াছে। যশোদার বাড়ীতে দু’টি বিবাহে শানাই বাজিল শুধু এক সন্ধ্যা, উৎসব হইল একটু অভদ্র রকমের, তবে এমন জমজমাট উৎসব হইল বলিবার নয়। রাত বারটার পর মতির তো জ্ঞানই রহিল না । যশোদাকে একাধারে কন্যাকৰ্ত্তা ও বরকর্তার নারীসংস্করণ হইয়া সমস্ত দায়িত্ব ঘাড়ে নিতে হইল বটে, আমোদ-আহলাদ সেও করিল না কম । সকলের সঙ্গে এক হইয়া সে মিশিয়া গেল। নেশােটা জমিয়া আসিলে মতি একবার তার গলাটা জড়াইয়া ধরিয়াছিল, হাত ছাড়াইয়া যশোদাকে তাড়াতাড়ি অন্যদিকে চলিয়া যাইতে দেখিয়া সবাই ভাবিয়াছিল, সে বুঝি রাগ করিয়াছে। ওমা, খানিক পরে এক বাটি দুধ আর একটি চামচ আনিয়া সকলের সামনে জোর করিয়া মতিকে শিশুর মত কোলে শোয়াইয়া যশোদা তাকে তিন চামচ দুধ খাওয়াইয়া ছাড়িল । Neò