পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহরতলী নয় দু’পাশের দেয়ালে গা ঠেকিয়া যায়। তা’ছাড়া যশোদার ভয় আছে, দেখিলেই দু’জনকে সে তফাৎ করিয়া দিবে। বেণী দুলাইয়া সুবৰ্ণ হন হন করিয়া চলিতে থাকে, পায়ের স্তাণ্ডেলে শব্দ হয় চট্য চট। পাড়ার রাস্তায় এমনভাবে সুবর্ণের সঙ্গে চলিতে গিয়া নন্দর মুহূৰ্ত্তে মুহূৰ্ত্তে রোমাঞ্চ হয়। আর মুহূৰ্ত্তে মুহূৰ্ত্তে হাত-পা যেন আড়ষ্ট হইয়া আসে। চেনা পথের দু’পাশে চেনা ঘরবাড়ী দোকানপাট সব যেন হাজার হাজার চেনা মানুষে ভরিয়া গিয়াছে, সকলে চাহিয়া দেখিতেছে সুবর্ণের চলন আর নন্দের অনুসরণ । “একটু আস্তে হাঁট না ?” সুবৰ্ণ থমকিয়া দাড়ায় । ঠিক তিনু, বিশু আর বেন্দার কামারশালার সামনে । লোহার পাত গরম হইতেছে, তিনু প্ৰাণপণে হাপরের দড়ি টানিতেছে, বিশু হাতুড়ি উদ্যত করিয়া আছে, বেন্দা লোহার পাতটি ঘুৱাইয়া ফিরাইয়া আগুনে গুজিয়া গুজিয়া ধরিতেছে। সেইখানে দাড়াইয়া সুবৰ্ণ জিজ্ঞাসা করে, নন্দ কি তবে সুবর্ণের সঙ্গে যাইতে চায় না? তবে না হয় থাকু নন্দ, সুবর্ণ একাই যাইবো! যেদিকে দু’চোখ যায় চলিয়া যাইবে! নন্দ ভাবিয়াছিল, সুবৰ্ণ বুঝি ব্যাকুল হইয়া হাসপাতালে ছুটিয়া যাইতেছে তার বৌদিকে দেখিবার জন্য ; কিন্তু হাসপাতালের পথ তো যেদিকে দু’চোখ যায় চলিয়া যাওয়ার পথ নয়। সুবর্ণের মুখে কড়া রোদ পড়িয়াছে, অভিমানের গাঢ় ছায়া স্পষ্ট করিয়া নন্দকে দেখানোর জন্যই সুবণ যেন মুখ করিয়া দাড়াইয়াছে সুৰ্য্যের দিকে। রাধার অভিমানের জ্বালায় নন্দ নিজে কত জ্বলিয়াছে, * তবু সুবণের অভিমান সে চিনিতে পারে না। এতক্ষণ পরে হঠাৎ ব্যাকুল হইয়া সে বলে, “তোমার অসংখ করেছে, সবণ ?” চেনা মানুষের কথা আর তো নন্দর মনে থাকে না, সেইখান হইতে গলা ফাটাইয়া অনেক দূরের একটা রিক্সাকে ডাকিয়া আনে। রিক্সায় উঠিয়া বসিয়াই সুবৰ্ণ অবশ্য নন্দর গায়ে গা এলাইয়া মূৰ্ছা যায়। কিন্তু নন্দ রিক্সাওয়ালাকে বাড়ীর দিকে ফিরিয়া যাইতে বলা মাত্র সচেতন হইয়া বলে, “না না, বাড়ী নয়, ট্রাম রাস্তাৱ দিকে যেতে বলে ।” DD DBB BDBDDS DDBBD DS DBD D DBBBDB uBS DDBD DBDBSS BBB যদি সুবণের সঙ্গে যায় নন্দ, অনেক দূরের কোন এক আজােনা সহৱে চলিয়া যায় সুবণের সঙ্গে, আর নদীর ধাৱে ছোট একটি ঘর ভাড়া করিয়া দু’জনে ৰাস করে, আৰু নন্দ যদি সারাদিন কীৰ্ত্তন করে, আর নন্দর কীৰ্ত্তন শুনিতে শুনিতে সুবৰ্ণ যদি YONS