মাণিক গ্ৰন্থাবলী যশোদা বলিল, ‘চুলোয়। কুঁড়ে পাও, গোয়াল পাও একটা ঠিক করে রেখো দিকি আমার জন্যে-পশু এসেই জিনিষপত্তর নিয়ে উঠে যাব ।” কুমুদিনী মুখ অন্ধকার করিয়া বলিল, “ই, জিনিষপত্তর । জিনিষপত্তর বেঁধেছেদে ब्रांशं८ड् ङ्द cड् ख्वांभांक ? “তোকে তো বলিনি সই!” কারও কাছে মনের কথা ফাস না করিয়া যশোদা বাড়ী ছাড়িয়া সহরের এক সন্তা হোটেলে গিয়া উঠিল। কিছুদিন হইতে যশোদা ভাবিতেছিল, রীতিমত একটা হোটেল খুলিয়া নিজের চারিদিকে আবার কতকগুলি মানুষ জড়ো করিয়া অনাত্মীয় মানুষের সুখ দুঃখের সঙ্গে নিজেকে জড়াইয়া দিয়া দিন কাটাইবে । কিন্তু দু’টি দিন সেই আদর্শ ও পবিত্র হোটেলে কাটাইয়াই সে বুঝিতে পারিল, এই সব কলমপেষা কুলীর কারে সঙ্গে সুখ দুঃখের উপভোগ ভাগাভাগি করে না, যেটুকু করে সেটুকু শুধু মৌখিক ভদ্র আলাপে চলতি শব্দের আদান প্ৰদান । সহানুভূতি কাকে বলে কেউ জানে না, চায় না এবং পায়ও না। ক্ষুব্ধ-মনে যশোদা তাই ফিরিয়া আসিল। আসিয়া দেখিল, কুমুদিনী সত্যই তার সমস্ত জিনিষপত্র বঁাধিয়া ছাদিয়া ঠিক করিয়া রাখিয়াছে। সহরের অন্যপ্ৰান্তে একটি বাড়ীও রাজেন ঠিক করিয়াছে, সকলে মিলিয়া এখন সেখানে গিয়া উঠিবে তারপর যা ব্যবস্থা হয় করা হইবে। যশোদা চলিয়া যাইবে আর তারা এখানে পড়িয়া থাকিবে, কুমুদিনীর তা সন্থ করা অসম্ভব। শক্ৰ যদি চোখের আড়ালেই চলিয়া গেল, দিন তার কাটিবে কি করিয়া ? যশোদা রাজেনকে বলিল, “তোমাদের যাবার তাড়াতাড়ি কিসেৱ ?? রাজেনের হইয়া কুমুদিনী জবাব দিল, “তোমারি বা তাড়াতাড়িটা কি শুনি ?” যশোদা মুখ ভার করিয়া বলিল, “আমার কথা আলাদা। এক মানুষ আমি, দু’দিন আগে যাই পরে যাই, কারো কিছু এসে যাবে না ! তোমরা কেন মিছিমিছি দু’চার মাস আগে থেকে ঘর ছাড়া হবে ?” কুমুদিনী মুচকিয়া একটু হাসিল -“আমরাও তো একা মানুষ চাদের মা নাই ? -দু’টি একা মানুষ ।” রাজেন ও কুমুদিনী চলিয়া গেলে বাড়ী ছাড়িয়া যাওয়ার জন্যে প্ৰস্তুত হইয়া
